কফি খাওয়ার আদর্শ সময় কোনটি? ছবি: সংগৃহীত।
সকালে ঘুম থেকে উঠে কফির গন্ধ না পেলে দিন শুরু হতে চায় না। বিশেষ করে শীতকালে। বাড়ি হোক বা অফিস, কাজে গতি আনতে এক কাপ কফিতে চুমুক না দিলে কাজে গতি আসে না কোনও মতে। তার উপর কফিপ্রেমী হলে তো কথাই নেই। সারা দিনে কত কাপ কফি খেয়ে ফেলেন, তার ইয়ত্তা নেই। কফি খেলেই যে শরীরের ক্ষতি হবে, এমনটা নয়। তবে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদদের মতে, খালিপেটে ক্যাফিনজাতীয় পানীয় খেলে বিপদের সম্ভাবনা প্রবল। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, কফি খাওয়ার ব্যাপারে কিছু বিষয় মাথায় রাখলে এই ধরনের বিপদ এড়িয়ে চলা যায়।
শরীর নির্দিষ্ট একটি নিয়ম মেনে চলে। সেই সার্কাডিয়ান ছন্দ অনুযায়ী শারীরবৃত্তীয় সমস্ত কাজ নির্ভর করে। ঘুম থেকে ওঠা, ঘুমোতে যাওয়া, হরমোন বা বিভিন্ন উৎসেচক ক্ষরণ— সবটাই নিয়ন্ত্রিত হয় সেই ঘড়ি দ্বারা। ক্যাফিনজাতীয় পানীয় খেলে স্নায়ু উত্তেজিত হয়। তাই ঘুমোতে যাওয়ার আগে কফি খেলে যে সহজে ঘুম আসবে না, সে তো জানা কথা।
এ ছাড়াও শরীরে কর্টিজ়ল হরমোন উৎপাদন এবং ক্ষরণের উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে। সাধারণত সকালের দিকে এই হরমোন ক্ষরণের মাত্রা বেশি থাকে। ‘খারাপ’ বা ‘স্ট্রেস’ হরমোন নামে পরিচিত কর্টিজ়লই ঠিক করে দেয় সারা দিনে আপনার কতটা এনার্জি বা মানসিক চাপ থাকবে। সমস্ত বিষয়ে সজাগ থাকতে সাহায্য করে এই হরমোনটি। আবার, কফিও কম-বেশি একই রকম ভাবে সজাগ থাকতে সাহায্য করে। স্বাভাবিক ভাবে যে কাজ শরীর নিজেই করতে পারে, সেই কাজ বাইরে থেকে কফি খেয়ে করার প্রয়োজন কোথায়? যদি ঘুম থেকে ওঠার পর কর্টিজ়লের মাত্রা বেশি থাকে, সে ক্ষেত্রে তখন কফি না খাওয়াই ভাল। ঘণ্টা তিনেক পর যদি ঝিমুনি আসে, কাজে তেমন উৎসাহ না পান, সে ক্ষেত্রে কফি খাওয়া যেতেই পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy