শিশুদের মাস্ক পরানো জরুরি। ছবি— শাটারস্টক।
বারে বারে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ছবি— শাটারস্টক।
পল্লব চট্টোপাধ্যায় জানালেন, বাচ্চাদের কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার কম হলেও স্কুল খোলার পর বোঝা যাবে সত্যিই বাচ্চাদের করোনার ঝুঁকি কম কিনা। তবে লকডাউনের সময় বাড়িতে থাকছে বলে ওদের মধ্যে মাস্ক পরা ও বারে বারে সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে ভাল হয়। এ জন্য বাড়িতে থাকাকালীনই বেশির ভাগ সময় মাস্ক পরে থাকতে শেখান। চোখেমুখে হাত দেওয়ার দরকার হলে অবশ্যই হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তবে বাচ্চাদের ট্রেনিং দিতে গেলে বড়দেরও বাড়িতে মাস্ক পরে থাকার অভ্যাস করতে হবে, বড়দের দেখেই ওরা শিখবে। স্কুল খুলে গেলেই যে ছোটরা রাতারাতি মাস্ক পরার অভ্যাস করে ফেলতে পারবে তা কিন্তু নয়। এই কারণেই আগে থেকে সুঅভ্যাস গড়ে তোলার ব্যাপারে জোর দিতে হবে।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ শান্তনু রায় জানালেন, শিশুদের কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ হলেই যে জ্বর সর্দি শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা যাবে তা কিন্তু নয়। বাচ্চাদের মধ্যে করোনার প্রকোপ অনেক কম হলেও কোভিড-১৯ সংক্রমণের ফলে তাদের পেটের গোলমাল ও ডায়ারিয়া, বমির মতো উপসর্গ দেখা যায়। বাড়িতে ছোট বাচ্চা থাকলে বাইরে থেকে ফিরে পোশাক বদলে এবং পারলে স্নান করে তার কাছে যান। অনেক শিশুরই নাকেমুখে হাত দেওয়ার বদভ্যাস আছে। লকডাউনের মধ্যে এই বদভ্যাস ছাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। ছোট শিশুদের মুখে মুখ দিয়ে আদর করবেন না, চুমু খাবেন না। জ্বর, পেটের সমস্যা ও বমি হলে অবশ্যই শিশু বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিতে হবে। কোভিড-১৯ হলে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করানো উচিত। ভয় পেয়ে চেপে রাখবেন না,বললেন শান্তনুবাবু। কোভিড-১৯ সংক্রমণ হলেও বাচ্চাদের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, তবু হাসপাতালে ভর্তি করে বাচ্চার উপর নজর রাখা দরকার বলে মনে করেন শান্তনু রায়। বাচ্চাদের সুস্থ রাখতে পুষ্টিকর খাবার দিন, হাত ধোওয়ার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন আর বাড়িতে থাকলেও খেলাধুলো করতে উৎসাহিত করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy