ঘরেই জিম তৈরি করা যায়। ছবি: সংগৃহীত।
ঠান্ডার মধ্যে লেপের ওম ছেড়ে রোজ জিমে যেতে মোটেই ভাল লাগে না। তার উপর সকাল সকাল খালি পেটে অন্যদের ঘামের গন্ধ সহ্য করাও বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। এখনকার বেশির ভাগ ‘হাউজ়িং’ বা বেশ কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্ট নিয়ে গড়ে ওঠা ‘সোসাইটি’তে জিম, সুইমিং পুল থাকেই। পেশাদার জিমের মতো ভিড় না হলেও সেখানেও হরেক লোকজনের আনাগোনা লেগেই থাকে। দুই-তিন কামরার ছোট্ট ফ্ল্যাট বা বাড়ির চিলেকোঠার ঘরে যদি একেবারে ব্যক্তিগত ‘মিনি জিম’ বানানোর শখ হয়, তা হলে কী কী মাথায় রাখবেন?
১) কোন যন্ত্রে কী ধরনের শরীরচর্চা করা যায়, সেই সম্পর্কে আগে স্পষ্ট ধারণা করে নিন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ঠিক কোন যন্ত্রগুলি আপনি বা আপনার পরিবারের সকলে ব্যবহার করতে পারেন, সেই বিষয়ে আগে নিশ্চিত হয়ে নিন।
২) প্রথমেই ভারী ভারী যন্ত্রপাতি কিনে ফেললেন। দু’দিন যেতে না যেতেই মোহ কেটে গেল। শরীরচর্চা করতে আর ইচ্ছেই করল না। তার চেয়ে বরং ট্রেডমিল, এক্সসারসাইজ বাইক, অ্যাব এক্সারসাইজ়ার-এর মতো হালকা কিছু যন্ত্রপাতি কিনতে পারেন। অভ্যাস হয়ে গেলে, মনে আনন্দ নিয়ে জিম করলে পরে অন্য যন্ত্রপাতি কেনা যেতেই পারে।
৩) পেশাদার জিমের মালিকেরা কিছু দিন অন্তরই সেখানকার যন্ত্রপাতি বিক্রি করে দেন। বদলে একই রকম কিন্তু আরও উন্নত সুযোগ, সুবিধা বিশিষ্ট যন্ত্র নিয়ে আসেন। ইচ্ছে হলে সেই সব জিমের প্রশিক্ষক বা জিম মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। কম দামে কাজ চালানোর মতো জিনিস পেয়ে যাবেন।
৪) যন্ত্র না হয় কিনে ফেললেন। কিন্তু সেই সব জিনিস কী ভাবে ব্যবহার করতে হয়, তা সকলের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। প্রশিক্ষক রেখে জিম করতে পারলে ভাল। কিন্তু তা যদি না পারেন, চিন্তা নেই। ইউটিউব আছে। নির্ভরযোগ্য অনেক অ্যাপ রয়েছে। মোবাইলে ডাউনলোড করে নিলেই চিন্তামুক্তি।
৫) শরীরের বিভিন্ন অংশের জন্য আলাদা যন্ত্র না কিনে, এমন যন্ত্র কিনুন যেগুলির সাহায্যে অনেক ধরনের ব্যায়াম করা যায়। প্রয়োজনে বিভিন্ন ওজনের ডাম্বল, প্লেট কিনতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy