যাঁরা পথকুকুরদের খাওয়াচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এখনই কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে না প্রশাসন। —ফাইল চিত্র
পথের কুকুরদের যদি খাওয়াতেই হয়, তবে নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতে হবে। অন্য কোথাও খাওয়ানো যাবে না। অন্যথায় করা হবে জরিমানা। পথকুকুরদের খাওয়ানো নিয়ে হওয়া একটি মামলায় অক্টোবর মাসেই এমন নির্দেশ দিয়েছিল বম্বে হাই কোর্টের নাগপুর বেঞ্চ। অন্যথায় জরিমানা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন বিচারপতিরা। বুধবার সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
বম্বে হাই কোর্টের দুই বিচারপতি সুনীল সুকরে ও অনিল পনসারের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, “যদি কেউ রাস্তার কুকুরদের খাওয়াতে কিংবা যত্ন নিতে চান, তবে নাগপুর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে আবেদন করে সরকারি ভাবে কুকুরগুলিকে দত্তক নিতে হবে।” এই নির্দেশের উপরেও অন্তর্বর্তী কালীন স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খন্না ও জে কে মহেশ্বরীর বেঞ্চ। বিচারপতি খন্না মৌখিক ভাবে বলেন, “কাউকে জোর করা যায় না যে, কুকুরদের খাওয়াতে গেলেই তাঁদের দত্তক নিতে হবে সেগুলিকে।” বিষয়টি বাস্তবসম্মত কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতিরা।
পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি জানিয়েছেন, যাঁরা পথকুকুরদের খাওয়াচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এখনই কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে না নাগপুর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। বরং কোনও নির্দিষ্ট জায়গায় কুকুরগুলিকে নিয়ে গিয়ে খাবার খাওয়ানো যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেন বিচারপতিরা। কোনও একটি নির্দিষ্ট পন্থা খুঁজে বার করতেও বলেন তাঁরা। তবে যাঁরা পথকুকুরদের খাওয়াচ্ছেন, তাঁদেরকেও সতর্ক করে সর্বোচ্চ আদালত। কোনও মতেই যেন সাধারণ মানুষের অসুবিধা না হয়, তা সাধারণ মানুষকেই নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতিরা। পথকুকুরদের খাওয়ানোর ফলে যদি আশপাশের মানুষজন সমস্যার মুখে পড়েন, তবে যাঁরা কুকুরদের খাবার খাওয়াচ্ছেন তাঁদের নাম নথিভুক্ত করে রাখতে পারে প্রশাসন, জানিয়েছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy