কিছু উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হন, রক্তে কোলেস্টেরল ডেকে আনতে পারে সে সব। ছবি: শাটারস্টক।
আধুনিক জীবনযাত্রা, অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন, এ সবের কারণে যে অসুখগুলি সবচেয়ে বেশি সমস্যায় ফেলে, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া তাদের অন্যতম। এমনিতে আপনার এমন সমস্যা আছে কি না তা বুঝতে গেলে রক্ত পরীক্ষা করাই দস্তুর।
কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, এই অসুখের প্রবণতা আপনার আছে কি না, বা ইতিমধ্যেই আপনার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে কি না তা বুঝতে সব সময় রক্তপরীক্ষা পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন হয় না। বরং কিছু উপসর্গ দেখলে বোঝা যায় শরীরে এই রোগ বাসা বেঁধেছে কি না।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামীর মতে, “রক্তে বেশি কোলেস্টেরল এলেই শারীরিক নানা সমস্যা শুরু হতে পারে।এর প্রভাব শরীরের বহিরঙ্গেও দেখা দেয়। তাই একটু সচেতন হলেই বুঝে যাওয়া যায় কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ছে কি না।’’
আরও পড়ুন
গ্যাসের বার্নার খোলা রেখেই সিলিন্ডার অফ করেন? বড় বিপদে পড়তে পারেন কিন্তু!
ঘন ঘন হঠাৎ মাথার পিছন দিকে যন্ত্রণা? কোলেস্টেরল নিয়ে সচেতন হন। ছবি: শাটারস্টক।
কেমন সে সব উপসর্গ? মতামত দিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
চোখের নীচে বা চোখের পাতায় সাদাটে বা হলদেটে ব্যথাহীন ফোলাঅংশ দেখা দিলে দ্রুত রক্ত পরীক্ষা করান। এতে চোখের কোনও সমস্যা দেখা না দিলেও এটি রক্তে কোলেস্টেরল থাকার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ। কিছু দিন ধরে মাঝে মাঝে বুকে ব্যথা হচ্ছে, অথচ ইসিজি রিপোর্টে তেমন কিছু সমস্যা খুঁজে পাননি? এমন হলে এক বার রক্ত পরীক্ষা করিয়ে দেখে নিন রক্তে কোলেস্টেরল প্রবেশ করেছে কি না। আসলে উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলে রক্তনালীতে অক্সিজেন সরবরাহ কমে। পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে হৃদযন্ত্রে চাপ পড়ে বুকে ব্যথা হতে পারে। কোলেস্টেরল জমলে মস্তিষ্কেও রক্ত সঞ্চালন কমে। এই কারণে ঘাড়ে ও মস্তিষ্কের পিছনের দিকে মাঝে মাঝে একটানা ব্যথা হয়।
আরও পড়ুন
ওজন নিয়ে চিন্তিত? এই কাজের জন্যই মেদ বাড়ছে না তো?
শারীরিক পরিশ্রম করলে বা কোনও উদ্বেগের কারণে হৃদস্পন্দনের হার বেড়ে যেতেই পারে। কিন্তু কোনও কারণ ছাড়া মাঝে মাঝেই কি হৃদগতি বেড়ে যায়। এমনটা হলে আর সময় নষ্ট না করে রক্ত পরীক্ষা করান। কোলেস্টেরল হৃদগতিকে বাড়িয়ে দেয়। খুব ভাল করে লক্ষ্য করে দেখুন তো, চোখের মণির চারপাশে ধূসর রঙের কোনও গোল দাগ দেখা যাচ্ছে? তা হলে জানবেন, তা চোখের সমস্যা নয়, বরং কোলেস্টেরলের কারণেই এমনটা হচ্ছে। তাই দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। (গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy