Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
OBESITY

ওজন কমাতে রোজের অভ্যাস থেকে আজই সরান এ সব পানীয়

ভেবে দেখেছেন কি, খাবার ও ওয়ার্ক আউট, জিমের পরেও কোথাও ঘাটতি থেকে যাচ্ছে কি না! ছবি: পিক্সঅ্যাবে।

ভেবে দেখেছেন কি, খাবার ও ওয়ার্ক আউট, জিমের পরেও কোথাও ঘাটতি থেকে যাচ্ছে কি না! ছবি: পিক্সঅ্যাবে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৫:৫২
Share: Save:

ওজন কমাতে চান পুজোর আগেই। তাই সারা দিন ডায়েট, ওয়ার্ক আউট করছেন। কিন্তু তাতেও ওজন কমছে কই? শেষে হতাশ হয়ে ধরেই নিচ্ছেন শরীরের ধাতই এমন, ওজন সহজে ঝরার নয়!

কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি, খাবার ও ওয়ার্ক আউট, জিমের পরেও কোথাও ঘাটতি থেকে যাচ্ছে কি না! আচ্ছা, কখনও এমনও তো হয়, অনেক ক্ষণ জিমে কাটালেন, তার পর ফিরে এসেই ঠান্ডা কোনও পানীয়তে চুমুক দিয়ে আরাম খুঁজছেন খানিকটা।

পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকদের মতে কিন্তু এটা আরও ক্ষতিকর। যেটুকু মেদ ঝরিয়ে আসছেন জিমে, সেটাই আবার শরীরে ভরে নিচ্ছেন গলা ভেজানোর অছিলায়। পুষ্টিবিদ মীনাক্ষী ঘোষের মতে, যদি সত্যিই ওজন কমাতে চান, তবে কিন্তু এই পানীয়গুলো আজই বাদ দিন ডায়েট থেকে।

আরও পড়ুন

দীর্ঘ ক্ষণ কম্পিউটারের সামনে কাজ? চোখ বাঁচাতে রইল টিপস

ছবি: পিক্সঅ্যাবে।

স্মুদি: ফলের রসকে একটু অন্য ভাবে খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। তাই স্মুদি বানিয়ে খাওয়ার চল রয়েছে আমাদের মধ্যে। বাড়িতে বানিয়ে স্মুদি খাওয়ার চেয়ে অনেকেই ভরসা করেন দোকানের কেনা স্মুদির উপর। কিন্তু বোতলবন্দি ফলের রস বা স্মুদিতে রয়েছে বিপুল পরিমাণে কৃত্রিম চিনি। সেখানে সংরক্ষণের জন্য মেশানো হয় নানা ক্ষতিকারক উপাদান। সে সব অস্বাভাবিক ভাবে বাড়িয়ে তোলে শরীরের ওজন। জিমে যেটুকু মেদ ঝরান, সেই মেদই ওই সব ক্ষতিকারক উপাদানে বাড়ে। তাই ওজন কমাতে গেলে এই ধরনের স্মুদি এড়িয়ে চলুন আজই।

এনার্জি ড্রিঙ্ক: বোতলবন্দি এনার্জি ড্রিঙ্কও খুব ক্ষতিকারক। চিকিৎসকের মতে, প্যাকেটবন্দি এনার্জি ড্রিঙ্কেও সংরক্ষণ করে রাখার জন্য নানা রাসায়নিক মেশানো হয়, যা মেদ বাড়ায়। ওবেসিটি কমাতে এই সব পানীয় থেকেও দূরে থাকুন। বরং শরীরচর্চা, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা, আনন্দে থাকা, স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া ও পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমেই ভাল থাকার চেষ্টা করুন।

আরও পড়ুন

নখ ভেঙে যায় সহজেই? সমাধান পেতে এ সব রাখুন খাদ্যতালিকায়

ছবি: পিক্সঅ্যাবে।

কফি: অতিরিক্ত চা-কফি শরীরের জন্য এমনিও ভাল নয়। তার উপর আইস-টি বা আইস-কফি খাওয়ার অভ্যাস কমান আদই। এমনকি, ফ্রিজ খুলে সরাসরি ঠান্ডা জল গলায় ঢাললেও বাড়ে মেদ। বরফের ঠান্ডা থেকে শরীরে মেদ ঢোকে। চা-কফির ক্যাফিন এই বরফের সঙ্গে মিশে শরীরের ক্ষতিকে বাড়িয়ে তোলে।

ঠান্ডা পানীয়: চিকিৎসকদের মতে, অত্যন্ত ক্ষতিকর এই সব পানীয়। এমনিও ঠান্ডা পানীয় শরীরের ভিতর জলের চাহিদা বাড়ায়। কারণ, শরীরের অভ্যন্তরের জলকে শুষে নেয় এই সব পানীয়। এতে খিদেও বাড়ে, শরীরে মেদ বাড়ে। তা ছাড়া এর মধ্যে থাকা অতিরিক্ত চিনি মেদ বাড়াতে ওস্তাদ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE