Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Lung Diseases

সিগারেট ক্ষতিকারক, কিন্তু গাঁজা-সিগারেটের মিশ্রণ আরও বেশি ক্ষতি করে, দাবি সমীক্ষায়

ধূমপায়ীদের মধ্যে দুটি দল আছে। এক দল মনে করেন গাঁজার চেয়ে সিগারেট ভাল, আবার এক দল মনে করেন, সিগারেট শরীরের যত ক্ষতি করে, গাঁজা ততটা করে না। কিন্তু হালের গবেষণা কী বলছে?

ফুসফুসের ক্ষতি করে কে?

ফুসফুসের ক্ষতি করে কে? ছবি- সংগৃহীত

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২২ ১২:০০
Share: Save:

হালের গবেষণা বলছে, সিগারেট এবং গাঁজার মিশ্রণ ফুসফুসের যে পরিমাণ ক্ষতি করে, তা শুধু সিগারেট খেলে হয় না।

যদিও যে কোনও প্রকার ধূমপানই স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। ফুসফুস সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত হয় এখান থেকেই। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গাঁজা ব্যবহারকারীদের একটি বড় অংশই হল এখনকার তরুণ প্রজন্ম। যাদের বয়স ৪০-এর মধ্যে।

দীর্ঘ দিন ধরে ধূমপান করার ফলে, ফুসফুসের টিস্যুগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফুসফুসের মধ্যে ব্রঙ্কিয়লের শেষপ্রান্তে থাকা বায়ুথলিগুলি ছিঁড়ে যায়। রক্তে অক্সিজেন প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে। স্বভাবতই সারা বছর কাশি, বুকে চাপ ধরা, শ্বাসকষ্ট বা ‘এমফিসেমা’র লক্ষণ প্রকাশ পায়।

শুধু ভারতে নয়, আমেরিকাতেও প্রায় ৩০ লক্ষেরও বেশি মানুষ ভয়ঙ্কর এই রোগের শিকার। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হল এই ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা।

ওটাওয়া হাসপাতালের রেডিয়োলজি বিভাগের গবেষণারত বিজ্ঞানীরা বলছেন, ধূমপায়ীদের মধ্যে যারা গাঁজা বা মারিজুয়ানা খান তাঁদের মধ্যে ৭৫ শতাংশ মানুষের মধ্যেই এমফিসেমার লক্ষণ দেখা যায়। অন্য দিকে, যারা সিগারেট খান তাদের মধ্যে ৬৭ শতাংশের এই রোগ দেখা যায়। যা ৮ শতাংশ হলেও কম।

আর যাঁরা ধূমপান করেন না তাঁদের সংখ্যাটা নগণ্য। অনেকেরই ধারণা সিগারেটের থেকে গাঁজা হয়তো কম ক্ষতিকারক। কিন্তু গবেষণা বলছে, এই ধারণা সত্যি নয়।

‘দ্য আমেরিকান লাং অ্যাসোসিয়েশন’ জানিয়েছে, বাইরে থেকে যদি ভাল কিছু নিশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে যায়, তা হল বিশুদ্ধ বায়ু। এ ছাড়া অন্য যে কোনও জিনিসই ফুসফুসের জন্য বিষাক্ত। তাই শুধু ধূমপান নয়, নিশ্বাস-প্রশ্বাসের মধ্যে দিয়ে পরিবেশ থেকে যদি কোনও দূষিত বায়ু ফুসফুসের মধ্যে প্রবেশ করে, তা-ও ক্ষতিকারক।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE