Advertisement
০১ জানুয়ারি ২০২৫
Egg Purity Test

শীতের জমাটি জলখাবারে চাই অমলেট-পোচ, পাতে যা পড়ছে তা তাজা তো? ডিম টাটকা রাখবেন কী ভাবে?

বাড়ির আটপৌরে ডিম-ভাতের পাশাপাশি, পথঘাটের ফাস্টফুডেও ডিমের চাহিদা বেশি। পোলট্রির ডিমের কদর দিন দিন বাড়ছে। দামও সেই হিসেবেই ঊর্ধ্বমুখী। যে ডিম রোজ খাচ্ছেন, তা কতটা টাটকা ও তাজা, তা চিনে নেওয়ার উপায় আছে।

Simple Tips To Check Purity of eggs and how to store them

টাটকা-তাজা ডিম চিনে নিন, উপায় শেখাল এফএসএসএআই। ছবি: ফ্রিপিক।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:১৬
Share: Save:

মাছে-ভাতে বাঙালির খাদ্যতালিকায় ডিমের কদরও কম নয়। তবে চাহিদার তুলনায় শহরাঞ্চলের বাজারে দেশি ডিমের আমদানি তেমন নেই বললেই চলে। ভিন্‌রাজ্য থেকে এনে পোলট্রির ডিমের ঘাটতি মেটানো হচ্ছে। বাড়ির আটপৌরে ডিম-ভাতের পাশাপাশি, পথঘাটের ফাস্টফুডেও ডিমের চাহিদা বেশি। ফলে, পোলট্রির ডিমের চাহিদা বিপুল। দামও সেই হিসেবেই ঊর্ধ্বমুখী। মধ্যবিত্তের সংসারে সস্তায় প্রোটিন খুঁজতে গেলেও ডিমই ভরসা। সেখানেও সঙ্কট। বাজার থেকে ধবধবে দেখে কিনে আনা পোলট্রির ডিম রান্নার সময়ে প্রায়শই কয়েকটি পচা বেরিয়ে যায়। অতএব ডিম-বিলাসী বাঙালির পাতে রোজ যা পড়ছে, তা কতটা টাটকা সে নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। তাই যাচাই করে নিতে হবে নিজেকেই।

তাজা ডিম চেনার উপায়

ডিমের গুণমান পরীক্ষা করার উপায় আছে। এই উপায় বলে দিয়েছে দেশের খাদ্যের গুণমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফুড সেফটি অ্যান্ট স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া) বা এফএসএসএআই। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, টাটকা ডিমের ধবধবে সাদা খোলা, টকটকে কুসুম। যদি ডিম অনেক দিনের পুরনো হয়, তা হলে সেই ডিম ভাঙলে কুসুমের রং ফিকে দেখাবে। অনেক সময়েই ডিমের সাদা অংশ আর কুসুমকে আলাদা করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে বুঝতে হবে, ডিমটি মোটেই টাটকা নয়।

বাজার থেকে কিনে এনেই ডিমটি নুন-জলে ডুবিয়ে দিন। যদি সেটি জলের তলায় আড়াআড়ি ভাবে শুয়ে পড়ে, তা হলে ডিম টাটকা। যদি ভেসে ওঠে, তা হলে বুঝবেন ডিম খাওয়ার অবস্থায় নেই।

আলোর সামনে ধরলে যদি ডিমের ভিতর রিংয়ের মতো আকার দেখতে পান তবে বুঝতে হবে, ডিমে পচন শুরু হয়েছে। ডিমের ভিতর কালচে দাগ দেখা গেলেও বুঝতে হবে, সেটি তাজা নয়।

গন্ধ শুঁকে বোঝা যাবে, ডিমটি টাটকা কি না। ডিম ভাঙার পর যদি দেখেন, গন্ধ বার হচ্ছে, তা হলে সেই ডিম খাবেন না।

ডিম টাটকা রাখার টোটকা

বাইরে বেশি দিন ডিম রাখলে তা খারাপ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে বলে অধিকাংশ মানুষই ফ্রিজেই চালান করেন ডিম। ফ্রিজের তাপমাত্রা শূন্যরও অনেক নীচে থাকে বলে খাবার রাখা নিরাপদ। কিন্তু ডিমের বেলায় তা একটু আলাদা। ফ্রিজে ডিম বেশি দিন ধরে রেখে দিলে তাতে খারাপ ব্যাক্টেরিয়া জন্মাতে পারে।

যে হেতু ফ্রিজ থেকে ডিম বার করে অনেক ক্ষণ বাইরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে তা রান্না করা অধিকাংশ মানুষেরই স্বভাবে নেই, বরং ফ্রিজ থেকে বার করেই তা রান্না করে ফেলা হয়, তাই সেই সব ব্যাক্টেরিয়া জীবিত অবস্থাতেই থেকে যায় অনেক সময়। তা হলে উপায়? ডিম সংগ্রহ করুন অল্প সংখ্যায়। যাতে দু’এক দিনেই তা রান্না করে ফেলা যায়। ফ্রিজের বাইরে রাখলেও তা দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই খেয়ে নিতে হবে।

সেদ্ধ ডিম ফ্রিজে ২-৩ ঘণ্টা রাখতেই পারেন, তবে তার বেশি নয়। সেদ্ধ ডিম দিনের পর দিন ফ্রিজে রেখে তার পর তা খেলে বিষক্রিয়া হতে পারে। তাই চিকিৎসকেরা টাটকা ডিমই খেতে পরামর্শ দেন।

সেদ্ধ ডিম যদি এক দিনের বেশি ফ্রিজে রাখতেই হয়, তা হলে খোসাসমেত রাখাই ভাল। কোনও ভাবেই খোসা ছাড়ানো সেদ্ধ করা ডিম ফ্রিজে রাখবেন না।

২-৩ সপ্তাহের জন্য ডিম সংরক্ষণ করতে চাইলে নুন ব্যবহার করতে পারেন। একটি বড় বাক্সে নুন রেখে তার উপর ডিমগুলি সাজিয়ে রাখুন। ডিমের উপরেও খানিকটা নুন ছড়িয়ে দিন। তার পর বাক্সের মুখ বন্ধ করে দিন।

ফাটা ডিম ভুলেও খাবেন না। ডিম কিনে আনার সময়ে ফেটে গেলে তা অমলেট করবেন বলে ফ্রিজে রেখে দেন অনেকেই। এই অভ্যাস অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। ফাটা ডিমে খুব তাড়াতাড়ি জীবাণু জন্মায়। সেই ডিম খেলে পেটের গোলমাল হতে পারে।

অন্য বিষয়গুলি:

Eggs Food Safety FSSAI Egg Meal healthy food
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy