আটকে গেল সিগন্যাল
আশঙ্কা ছিলই। সেই আশঙ্কাই এ বার সত্যি হল। বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারীর চাপে হিমসিম খেল সিগন্যালের সার্ভার। বিঘ্নিত হল পরিষেবা।
হোয়াটসঅ্যাপের পলিসি সংক্রান্ত বিতর্কের কারণে দ্রুত হারে বাড়ছে সিগন্যাল অ্যাপের ব্যবহার। আচমকা বেড়ে যাওয়া ব্যবহারকারীর বিপুল চাপ সিগন্যালের সার্ভার কতটা সামলাতে পারবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিলই। সেই আশঙ্কাকেই সত্যি প্রমাণ করে শুক্রবার রাত থেকেই গতি কমে গিয়েছে এই অ্যাপের। বহু ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, তাঁদের মেসেজ ঠিক সময়ে যাচ্ছে না। সিগন্যালের তরফেও মেনে নেওয়া হয়েছে এই অভিযোগ। তারা জানিয়েছে, খুব দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
হোয়াটসঅ্যাপের নতুন পলিসির কারণে চটেছেন বহু ব্যবহারকারী। তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে সংশয় দেখা দেওয়ায়, তাঁরা দ্বারস্থ হয়েছেন অন্য ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপের। এর মধ্যে সিগন্যালের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেড়েছে। সৌজন্যে এলন মাস্কের একটি টুইট যেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘সিগন্যাল ব্যবহার করুন’। এর পর থেকেই এই অ্যাপটির প্রতি স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের আস্থা বেড়ে যায়। হুহু করে ডাউনলোডের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তাতেই চাপ পড়েছে সিগন্যালের সার্ভারে। তাদের তরফেও বলা হয়েছে, সিগন্যাল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত ১ কোটি থেকে বেড়ে ৫ কোটি হয়ে গিয়েছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই তাদের সার্ভারে চাপ পড়েছে। তবে তারা এই সমস্যা সামলে নিতে পারবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে।
বহু ব্যবহারকারীই জানিয়েছেন, যাঁরা বেশি মাত্রায় সিগন্যাল ব্যবহার করছেন, তাঁদের ফোনে মেসেজ পৌঁছচ্ছে না। এমনকি গ্রুপেও মেসেজ যাচ্ছে না। অনেক ব্যবহারকারীই জানিয়েছেন, মেসেজ পাঠাতে গেলে সিগন্যালের তরফে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, ‘প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সিগন্যাল মেসেজ পাঠাতে পারছে না। দ্রুত আগের অবস্থায় ফেরার চেষ্টা করে হচ্ছে’।
যদিও শনিবার সকাল থেকে পরিস্থিতি কিছুটা ঠিক হয়েছে। তবে এখনও পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি।
আরও পড়ুন: বিশ্ব জুড়ে প্রবল চাপ, নতুন আপডেট আপাতত স্থগিত রাখল হোয়াটসঅ্যাপ
আরও পড়ুন: আপনি কী কিনছেন অনলাইনে, অজান্তে সেই তথ্য চলে যায় হোয়াটসঅ্যাপে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy