আপনার আচরণ, কথাবার্তাতেও পেশাদারিত্বের ছাপ থাকা জরুরি। প্রতীকী ছবি।
অফিসে কাজের সময় মাথা ও মেজাজ দুই-ই নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। নয়তো তার প্রভাব কাজে পড়বে তো বটেই, পাশাপাশি সহকর্মীদের সঙ্গেও পারস্পরিক সম্পর্কে তিক্ততা চলে আসতে পারে। অফিস পেশাদার জায়গা। আপনার আচরণ, কথাবার্তাতেও পেশাদারিত্বের ছাপ থাকা জরুরি। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে পরস্পরের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠতেই পারে। তবে মনে রাখা জরুরি সেই বন্ধুত্বের সম্পর্কের সাঁকোটি আসলে অফিস। সহকর্মী বন্ধু হয়ে উঠেছে মানেই ব্যক্তিগত জীবন তাঁর সামনে মেলে না ধরাই শ্রেয়। তাতে সাময়িক কোনও সমস্যা না হলেও পরবর্তীতে কাজে এর প্রভাব পড়তে পারে। তাই সহকর্মীর সঙ্গে আলাপচারিতায় যোগ দেওয়ার আগে মনে মনে ছকে নিন কী বলবেন এবং কতটা বলবেন না।
টাকা ধার চাওয়া
সহকর্মীর সঙ্গে আপনার একেবারেই পেশাদার সম্পর্ক। আপনার ব্যক্তিগত জীবনের ওঠাপড়া একান্ত প্রয়োজন না পড়লে প্রকাশ্যে না আনাই ভাল। আর্থিক সমস্যা থাকতেই পারে। সাময়িক সমাধান পেতে সহকর্মীর কাছে টাকা ধার না করাই ভাল। এতে মুখে কিছু না বললেও আপনি যে আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, সেটাই স্পষ্ট হবে।
সহকর্মীর সঙ্গে পরচর্চা নয়
অফিস কাজের জায়গা। সেখানে কাজ সংক্রান্ত আলোচনা হওয়াটাই সবচেয়ে বেশি শ্রেয়। তবুও দীর্ঘ দিন একসঙ্গে কাজ করতে করতে নিজেদের মধ্যে একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের খাতিরে ভুলেও অন্যের সমালোচনায় অংশ নেবেন না। এতে অফিসে আপনার ভাবমূর্তি খারাপ হতে পারে।
সৎ থাকুন মনে, মুখে নয়
সততা প্রকাশ পাবে আপনার কাজে, আচরণে। আপনি যে সৎ তা প্রতি কথায় বুঝিয়ে বলার কোনও প্রয়োজন নেই। এই অভ্যাসের কারণে আপনাকে নিয়ে সহকর্মীদের মনে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বরং তাঁরা উল্টোটাও ভাবতে শুরু করতে পারেন।
কাজের চাপ নিয়ে কথা না বলাই ভাল
কাজের অত্যধিক চাপ থাকলে তা নিয়ে সহকর্মীর সঙ্গে আলোচনা না করাই ভাল। কারণ সকলেই খুব ব্যস্ততার মধ্যে কাজ করেন। প্রত্যেকেই কাজ নিয়ে উদ্বেগ থাকেন। এ নতুন কিছু নয়। কিন্তু আপনি যদি আপনার অফিস সংক্রান্ত উদ্বেগ, চিন্তা, চাপের কথা সহকর্মীকে জানান তাহলে কিন্তু চাপ কমার চেয়ে আরও বেড়ে যেতে পারে। কর্তৃপক্ষের কানে গেলে তাঁরা হয়তো ভাবতে পারেন আপনি চাপ নিয়ে কাজ করতে সক্ষম নন।
অন্যত্র চাকরি খোঁজার কথা
এই মুহূর্তে যে চাকরি করছেন, হতে পারে সেটি ছেড়ে দিয়ে অন্য কোথাও চেষ্টা করছেন। কিংবা অন্য কোনও পরিকল্পনা রয়েছে, থাকতেই পারে। কিন্তু তা নিয়ে সহকর্মীর সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করা জরুরি নয়। আপনার চাকরি বদলানোর পরিকল্পনা নিজের মনেই রাখুন। তা নিয়ে সহকর্মীর কাছে অকপট হওয়া আসলে বোকামির লক্ষণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy