সপ্তাহখানেক পর চিঠির মাধ্যমে লিজ়াকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন রবার্ট। ছবি: সংগৃহীত।
না আর একাকিত্ব নয়, ব্রহ্মচর্য ত্যাগ করে সন্ন্যাসীকেই বিয়ে করলেন সন্ন্যাসিনী। ঘটনাটি ঘটেছে লন্ডনে। ৭ বছরের প্রেমপর্ব পরিণতি পেল বিয়েতে।
বিবিসির খবর অনুযায়ী, বছর চব্বিশ আগে সন্ন্যাসিনী হয়েছিলেন লিজ়া টিঙ্কলার। ১৯ বছর বয়স থেকে ব্রহ্মচর্য পালন করছেন লিজ়া। এখন অবশ্য তিনি সিস্টার মেরি এলিজ়াবেথ নামেই পরিচিত। বয়স ৫০। ২০১৫ সালে নিজের কনভেন্টেই তাঁর পরিচয় হয় সন্ন্যাসী রবার্টের সঙ্গে। প্রথম দেখাতেই পরস্পরের মনে জায়গা করে নেন। রবার্ট ফিরে যাওয়ার পরেও কেউ কাউকে ভুলতে পারেননি। সপ্তাহখানেক পর চিঠির মাধ্যমে লিজ়াকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসলেন রবার্ট।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লিজ়া বললেন, ‘‘রবার্টকে দেখেই আমার বেশ ভাল লাগে, খানিকটা দ্বিধাগ্রস্তও ছিলাম কোনও অন্যায় করে ফেলছি না তো— এই ভেবে। ও কি আমার কথা আদৌ ভাবছে? ও যে দিন চলে যাচ্ছিল, মনটা বেশ খারাপ লাগছিল। এমন অনুভূতি আগে কখনও অনুভব করিনি। রবার্ট আমার আসল নাম, পরিচয় কিছু না জেনেই আমায় ভালবেসেছে।’’
অনেক সাহস সঞ্চয় করে লিজ়া সিদ্ধান্ত নিলেন, ব্রহ্মচর্যের জীবন আর নয়। প্রেমের পথকেই বেছে নিলেন তিনি। ব্রহ্মচর্যের জীবন ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার পথটা মোটেই সহজ ছিল না দু’জনের কাছে। কনভেন্টে ঈশ্বরের সাধনা থেকে পাবে বসে একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানো— জীবনটা যেন আমূল বদলে গেল। বিভিন্ন সন্ন্যাসী, যাঁরা সন্ন্যাস জীবন ছেড়েছেন নানা কারণে, তাঁদের লেখা বই পড়তে শুরু করেন তাঁরা। তাঁরা বুঝলেন, কেবল ব্রহ্মচর্যের মাধ্যমে ঈশ্বরসাধনা করা যায়— এই ধারণা ভুল। বিবাহিতরাও একই ভাবে ঈশ্বরসাধনা করতে পারেন, ইচ্ছেটাই আসল। বিয়ে করলেন দু’জনে। লিজ়া এখন একটি হাসপাতালে কাজ করেন। আর রবার্ট চার্চের কাজেই নিযুক্ত আছেন তবে তিনি অর্ডারের সদস্যপদ হারিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy