বিড়াল কাঠের আসবাবে আঁচড়ায় কেন? ছবি: সংগৃহীত।
বাড়ির পোষ্য বিড়ালটি এমনিতে শান্তশিষ্ট। সাত চড়ে রা কাড়ে না। নির্দিষ্ট জায়গায় খেতে না দিলে খায় না। হেঁশেলে মাছ খোলা পড়ে থাকলেও মুখ দেয় না। তবে দোষ তার একটিই। হাতের সামনে যা পায় তাতেই আঁচড় কাটে। কাঠের আলমারি, খাটের পায়া, সোফার নরম অংশ— কিছুই বাদ দেয় না। পশুচিকিৎসকেরা হয়তো বলবেন, চারপেয়েদের এমন আচরণ অস্বাভাবিক নয়। কখনও তা রাগ প্রকাশের মাধ্যম, আবার কখনও নেহাত খুনসুটি। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, এমন আচরণের নেপথ্যে রয়েছে অন্য কারণ। ‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন ভেটেনারি’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে সে সব তথ্য।
পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের গবেষকেরা ফ্রান্সের প্রায় ১২০০টি বিড়াল এবং তাদের অভিভাবকদের নিয়ে এই সমীক্ষা চালিয়েছেন। গবেষণা প্রধান ইয়েসমিন সালগিরি ডেমিরবাস বলেন, “বাড়িতে কোনও শিশু থাকলে তার সামনে পোষ্য বিড়ালেরা এই ধরনের আচরণ করে থাকে। হতেই পারে তা পোষ্যটির উদ্বেগ, মানসিক চাপের বহিঃপ্রকাশ। আবার, অনেক ক্ষেত্রে তা নিজের এলাকা বা অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লক্ষণও হতে পারে।” এই বিষয়ে অভিভাবকদের খানিকটা ধারণা থাকলে পোষ্যের মানসিক পরিস্থিতি বোঝা সহজ হয়। পাশাপাশি, বাড়ির পরিবেশের সঙ্গে পোষ্য বিড়ালটি মানিয়েও নিতে পারে।
পোষ্য বিড়ালকে এমন আচরণ থেকে বিরত রাখবেন কী ভাবে?
আঁচড়ানো থেকে বিরত করতে অনেকেই হয়তো পোষ্যটিকে ধমক দেবেন, বকাবকি করবেন। তবে পশুচিকিৎসকেরা বলছেন, তাতে সব সময়ে কাজ হয় না। চোখের আড়াল হলেই আবার সেই একই আচরণ শুরু করে দিতে পারে পোষ্যেরা। তার চেয়ে বরং বিড়ালের হাতের কাছে নানা ধরনের খেলনা রাখা যেতে পারে। আঁচড়াতে পারে এমন আসবাবের সুরক্ষায় ‘প্রোটেক্টর’ ব্যবহার করা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy