Advertisement
১২ জানুয়ারি ২০২৫
Parenting Tips

বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শিখবে খুদে, কিন্তু কোনটা, কী ভাবে শেখাবেন বাবা-মায়েরা, বলছেন মনোবিদ

ছোট থেকে বড় হওয়ার সময়েই ধীরে ধীরে জীবনের প্রয়োজনীয় জিনিস শেখে সন্তান। এই সময় সুঅভ্যাস তৈরি করতে পারলে, তা তার বিকাশে সহায়ক হবে। কী ভাবে তাকে জীবনের পাঠ দেবেন?

খুদের বড় হওয়ার সময় কখন, কোন কাজটা, কী ভাবে শেখাবেন?

খুদের বড় হওয়ার সময় কখন, কোন কাজটা, কী ভাবে শেখাবেন? ছবি:ফ্রিপিক।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:০২
Share: Save:

সব বাবা-মায়েরাই চান, তাঁদের সন্তান বড় হোক, মানুষের মতো মানুষ হোক। কিন্তু সন্তান পালন কি মুখের কথা! বড় হওয়ার পথে ভুলভ্রান্তি শিশুর ব্যক্তিত্বে, মানসিকতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। আবার বাবা-মায়ের আদর, নিরাপত্তা, মূল্যবোধ, সঠিক অভিভাবকত্বে বেড়ে ওঠা শিশু হয়ে উঠতে পারে ভবিষ্যতের সুনাগরিক।

খুদে বড় হওয়ার সময়েই শিখবে, জানবে। কোন বয়সে তাকে কী ভাবে শেখাবেন, কোন অভ্যাস তৈরি করবেন, কী ভাবে সে বড় হলে তার ব্যক্তিত্বের যথাযথ বিকাশ হতে পারে পরামর্শ দিলেন মনো-সমাজকর্মী মোহিত রণদীপ।

পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের ব্যবহার: জীবনের শিক্ষা হোক পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের ব্যবহারে। মোবাইল বা টিভির পর্দায় দীর্ঘ ক্ষণ আটকে না থেকে রূপ, রং, গন্ধ খুদেকে চেনানোর প্রয়োজন রয়েছে। মোহিত জানালেন, বিভিন্ন শব্দ, বর্ণ, স্বাদের সঙ্গে খুদের পরিচয় ঘটাতে হবে। তবেই তার ইন্দ্রিয়গুলির বিকাশ ঘটবে। তার চোখে চোখ রেখে কথা বলতে হবে। দৈনন্দিন যাপন থেকেই শিশু ধীরে ধীরে প্রয়োজনীয় জিনিস, কাজ শিখবে।

স্বাবলম্বী: যতই ছোট হোক, সন্তানের স্বাবলম্বী হওয়ার শিক্ষা ছোট থেকেই হওয়া দরকার। হাঁটতে গেলে পড়ে যাবে। কিন্তু নিজের চেষ্টাতেই যে উঠে দাঁড়াতে হয়, সেই অনুপ্রেরণা গোড়াতেই দেওয়া দরকার। সব কাজ করে দেওয়া নয়, বরং বয়স অনুযায়ী তাকে নিজের কাজ নিজে করার শিক্ষা দেওয়া জরুরি। এই অভ্যাস তাকে ভবিষ্যতে স্বনির্ভর করে তুলবে।

আবেগের বহিঃপ্রকাশ: আবেগ, অনুভূতি নিয়ন্ত্রণের জন্য তার বহিঃপ্রকাশ জরুরি। দিনের শেষে তার কথারও বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। কোন কথায় কেউ দুঃখ পায় বা পেতে পারে, সেই বোধ ছোট থেকে হলে, কথা বলার বিষয়ে খুদে ভাববে। কাজের পরিণতি সম্পর্কে সচেতন হবে।

সহযোগিতা-সহমর্মিতা পাঠ: অন্যকে সম্মান করা, সহযোগিতা, সহমর্মিতার পাঠ ছোট থেকে দেওয়া দরকার। অন্যের দুঃখে পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা ভবিষ্যতে একজন শিশুকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি, কাজের পরিণতি সম্পর্কেও শিশুকে বোঝানো প্রয়োজন, বলছেন মোহিত। হয়তো বন্ধুর কোনও জিনিস ভাল লেগেছে বলে সেটি সে বাড়ি নিয়ে চলে এসেছে। কেন ভুল, কোথায় ভুল তা বুঝিয়ে জিনিসটি পরদিন তার হাত দিয়েই ফেরত দেওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন মনো-সমাজকর্মী।

খেলাধুলো: শিশুর শারীরিক বিকাশের জন্য খেলাধুলার প্রয়োজন। ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে তা সম্ভব নয়। ভারতীয় জীবনশৈলীবিদ লিউক কোটিনহোর পরামর্শ, শিশু যে ধরনের খেলা ভালবাসে সে ব্যাপারে তাকে উৎসাহ দিতে হবে। নাচ, ক্রিকেট, সাইকেল চালানো-সহ পছন্দের যে কোনও খেলা বা সহজাত শরীরচর্চায় তাকে যুক্ত করা প্রয়োজন। এতে শরীর-মন, দুইয়েরই বিকাশ হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Habits Parenting Tips
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy