পশমিনা আসল বুঝবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
পশমের মতো নরম। হালকা, অথচ উষ্ণ। মিহি বুননে অপূর্ব কারুকাজের মায়াজাল। আংটির মধ্যে দিয়ে অক্লেশে গলে যায়। হিমাঙ্কের নীচের তাপমাত্রাকেও দিব্যি বশ করতে পারে, তা-ই হল পশমিনা। জগৎজোড়া খ্যাতি তার।
জানা যায়, কাশ্মীরের উপত্যকায় প্রবল শীতে ঘুরে বেড়ানো ক্যাশমেয়ার নামে ছাগলের লোম থেকেই তৈরি হয় পশমিনার মিহি সুতো। দিনের পর দিন সেই সুতোয় ফোঁড় তুলে নকশা কাটেন শিল্পীরা। তুলো এবং কারিগরির মিলমিশে জন্ম হয় পশমিনার। মিহি বুনোটের একখানি শাল গায়ে জড়ালে প্রবল শীতও বাগে আসে।
এখন কলকাতা থেকে দিল্লি, মুম্বই— বহু জায়গাতেই পশমিনা শাল, স্কার্ফ বিক্রি হয়। তার দামও চড়া। গুণমান অনুযায়ী মূল্য ধার্য। শখ করে সেই পশমিনাও কিনবেন ঠিক করেছেন। কিন্তু বুঝবেন কী করে, দাম দিয়ে কেনা জিনিসটি আসলে পশমিনা।
১. পশমিনার কদর তার সুতো, বুনন, আরামের জন্য। হাত বুলিয়ে দেখুন, কাঙ্ক্ষিত নরম ভাব, মিহি বুনন টের পাচ্ছেন কি না! গায়ে জড়িয়েও পরখ করতে পারেন এর উষ্ণতা। নকল শাল কুটকুটে হতে পারে, পশমিনা নয়।
২. পশমিনার মূল্য আকাশছোঁয়া। লাখেও পৌঁছয় সেই অঙ্ক। এত দামি জিনিস অযত্নে রাখবেন না বিক্রেতারাও। তাই খেয়াল করুন শালের মোড়ক, লেবেল। আসল জিনিসের লেবেল, সার্টিফিকেট দুই-ই থাকা দরকার।
৩. আলোয় মেলে ধরুন শালটি। যদি স্বচ্ছ দেখায়, বুঝতে হবে গলদ আছে। আসল পশমিনা আলো আটকাতে পারে। কখনও স্বচ্ছ হবে না সেটি।
৪. পশমিনা হাতে বোনা হয়। তাই এর কারুকাজে যান্ত্রিক বুনন থাকবে না। খুব ভাল করে লক্ষ করলে তা বোঝা যাবে। শাল বা স্কার্ফের নকশা সর্বত্র এক রকম হতে পারে না। হাত দিলে তা অবশ্যই মিহি লাগবে, তবে তার মধ্যেও কিছু অসমান জায়গা থাকবেই।
৫. সম্ভব হলে পশমিনার একটু সুতো জ্বালিয়ে দেখুন। যদি পোড়া গন্ধ এবং ছাই মেলে, তা হলে সেটি আসল বলে ধরা যায়। কৃত্রিম তন্তুর ব্যহারে তৈরি শালে প্লাস্টিক পোড়া গন্ধ বার হতে পারে।
আসল পশমিনা চেনা জহর চেনার মতোই কঠিন। ভাল রত্ন চিনতে গেলে যেমন জহুরির চোখ থাকা দরকার, একই কথা প্রযোজ্য পশমিনার ক্ষেত্রেও। দাম দিয়ে জিনিস কেনার আগে কোথাও কোনও খুঁত মনে হলে দু’বার ভেবে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy