উৎসব পেরিয়ে গেলেও ব্যবসায় ভাটা পড়ছে না এখনই। সৌজন্যে বিয়ের মরসুম। প্রায় বত্রিশ লক্ষ বিয়ে আয়োজিত হতে চলেছে ১৪ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে। ফলে এখনই কমছে না কেনাকাটার ভিড়। ইঙ্গিত মিলল ব্যবসায়ী সংগঠন ‘কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স’ বা ‘সিএআইটি’-র সাম্প্রতিক সমীক্ষায়।
আরও পড়ুন:
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এই এক মাসে শুধু কেনাকাটা নয়, বাড়বে বিবাহসংক্রান্ত বিভিন্ন পরিষেবার চাহিদাও। খাওয়াদাওয়া, অনুষ্ঠানগৃহ, ফুল কিংবা ছবি তোলা, বিভিন্ন ধরনের কাজে ৩ লক্ষ পঁচাত্তর হাজার কোটি টাকার লেনদেন হতে পারে বলে আশা ‘সিঅআইটি’-র। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রায় ৫ লক্ষ বিয়ের ক্ষেত্রে খরচ ধরা হয়েছে গড়ে ৩ লক্ষ টাকা। দশ লক্ষ বিয়ের ক্ষেত্রে এই খরচ ৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। প্রায় ৫ লক্ষ বিয়ে আয়োজনে খরচ ছোঁবে পঁচিশ লক্ষ টাকা। পঞ্চাশ লক্ষ টাকা কিংবা তার বেশি খরচ হবে এমন বিয়ের সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশ হাজার। বিয়েতে ১ কোটি টাকা খরচ করতেও রাজি অনেকে। ১ কোটি টাকার বেশি খরচ করে বিয়ে করছেন এমন মানুষের সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশ হাজার।

বিয়ের খরচ ছুঁচ্ছে কোটি টাকা! —ফাইল চিত্র
ডিসেম্বরের পর আবার বিয়ের মরসুম শুরু হবে পরের বছরের ১৪ জানুয়ারি থেকে। চলবে জুলাই পর্যন্ত। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গড়ে বিয়ের মোট খরচের কুড়ি শতাংশ যায় বর-কনের পিছনে। বাকি আশি শতাংশই খরচ হয় অনুষ্ঠান আয়োজনে। সবচেয়ে বেশি খরচ করা হয় বাড়ি সারাই করতে। তার পর আসে গয়না, পোশাক ও খাওয়াদাওয়ার মতো বিষয়গুলি। আগে প্রচলন না থাকলেও ক্রমেই ‘ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট’ বা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা সামলানোর সংস্থার প্রচলন বাড়ছে বলে জানানো হয়েছে সমীক্ষায়।