প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
মিউকরমাইকোসিস বা যাঁ চলতি ভাষায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বলেই সকলের কাছে পরিচিত, তা কতটা সংক্রামক? হঠাৎ করে কেনই বা এত সংখ্যায় মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন? তা হলে কি হাসপাতালে গেলেই এই রোগ এক জনের শরীর থেকে অন্য জনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে? এই ধরনের কিছু ভয় সাধারণ মানুষের মনে ঢুকে পড়েছে। কিন্তু সেগুলো কতটা সত্যি, খোঁজ করল আনন্দবাজার ডিজিটাল।
মিউকরমাইকোসিস রোগটি ভারতবর্ষে আগেও ছিল। কিন্তু তেমন রোগীর সংখ্যা অনেকটাই কম ছিল। কোভিড সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর থেকে ফের এই ফাঙ্গাল রোগ বেড়ে গিয়েছে হু হু করে। কিন্তু সেটার কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। যেহেতু ডায়বেটিস, বা যাঁদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কম, তাঁদের মিউকরমাইকোসিস হওয়ায় সম্ভাবনা অনেক বেশি, তাই চিকিৎসকদের অনেকেই মনে করেন, কোভিড চিকিৎসায় ব্যবহৃত স্টেরয়েডের কারণেই এই রোগের বাড়বাড়ন্ত। তবে এই রোগ যে একে অপরের থেকে ছড়াচ্ছে না, তা নিয়ে কোনও দ্বিধা নেই।
নাক-কান-গলার (ইএনটি) চিকিৎসক অর্জুন দাশগুপ্ত জানালেন, ‘‘মিউকরমাউকোসিস একদমই অন্য কারুর থেকে হওয়া সম্ভব নয়। আমাদের শরীরে ৫০০ থেকে ৬০০ রকম ব্যাক্টেরিয়া, ফাঙ্গাস সারাক্ষণই থাকে। এবং সেগুলো বেশির ভাগই শরীরের পক্ষে প্রয়োজনীয়। তেমনই মিউকর থাকে নাকে। এবং মিউকরমাইকোসিস হয়ও নাক থেকেই। তারপর সেটা শরীরের অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে কোনও ভাবেই, সেটা অন্যের শরীরে প্রবেশ করবে না।’’
কোভিড রোগীদের মধ্যে যেহেতু এই ছত্রাক সংক্রমণ অনেক বেড়ে গিয়েছে, তাই চিকিৎসকেরা অত্যন্ত সতর্ক থাকতে বলছেন সকলকে। নাকে কালচে ছোপ, নাক দিয়ে রক্ত পড়া বা কালচে চাপা রক্ত পড়া, দাঁতে ব্যথা, মুখ অবশ হয়ে যাওয়া, মাথা ধরার মতো কিছু উপসর্গের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে বলছেন তাঁরা।
(‘মিউকরমাইকোসিস’ আদৌ ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ নয়। বস্তুত, ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ বলে কোনও রোগ নেই বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। অথচ ঘটনাচক্রে, রোগটি এই নামেই আমজনতার কাছে অনেক বেশি পরিচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy