প্রতীকী ছবি।
গত বছর থেকেই বিপুল পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে মাল্টিভিটামিন এবং জিঙ্ক ট্যাবলেটের চাহিদা। আর এই জিঙ্কের কারণেই মিউকরমাইকোসিসের মতো ছত্রাকের সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে। এমনই দাবি করছেন চিকিৎসকেরা।
হালে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা ‘আইএমএ’-র প্রাক্তন প্রধান রাজীব জয়দেবন নেটমাধ্যমে দাবি করেছেন, যাঁরা কোভিড সংক্রমণ এড়াতে বেশি মাত্রায় জিঙ্ক সাপ্লিমেন্ট খেয়ে গিয়েছেন, তাঁদের মিউকরমাইকোসিসের মতো ছত্রাকের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি।
এমন কি হতে পারে? চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীর মতে, অবশ্যই এমন আশঙ্কা রয়েছে। ‘‘পরিবেশে এমন বহু ব্যাকটিরিয়া বা ছত্রাক রয়েছে, যারা অন্য সময়ে আমাদের ক্ষতি করতে পারে না। কিন্তু তারা সুযোগ খোঁজে। যখনই শরীর কোনও কারণে দুর্বল হয়ে পড়ে, তারা আক্রমণ করে। এ ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। মিউকরমাইকোসিসের মতো ছত্রাক সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। আর শরীরের অতিরিক্ত জিঙ্ক তাদের বাসা বাঁধার সুযোগটা করে দিচ্ছে।’’
রোগ প্রতিরোধে জিঙ্ক কতটা কাজে লাগতে পারে? সুবর্ণর মতে, অবশ্যই কাজে লাগতে পারে। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত হলেই বিপদ। ‘‘অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন, জিঙ্ক খাবেন কি না? তাঁদের সকলকেই বলব, জিঙ্কের অনেক গুণ আছে বটে, কিন্তু জিঙ্ক কোভিড আটকাতে পারে না। এই ধরনের সাপ্লিমেন্ট খেতেই পারেন। ১০-১৫ দিন, ১ মাস খান— ঠিক আছে। তার বেশি ঠিক নয়। তা হলে ছত্রাকের সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়বে,’’ বলছেন সুবর্ণ। একই রকম ভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া এবং বাষ্প নেওয়াও বিপজ্জনক হতে পারে, বলছেন তিনি।
(‘মিউকরমাইকোসিস’ আদৌ ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ নয়। বস্তুত, ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ বলে কোনও রোগ নেই বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
অথচ ঘটনাচক্রে, রোগটি এই নামেই আমজনতার কাছে অনেক বেশি পরিচিত। সেই কারণেই আনন্দবাজার ডিজিটাল সাধারণ ভাবে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ নামটি ‘মিউকরমাইকোসিস’-এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করছে। অজ্ঞানতাবশত নয়।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy