চিকিৎসকদের মতে, কন্ডোম না ব্যবহারের প্রবণতা যৌনরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। ছবি: শাটারস্টক
পুরুষদের মধ্যে বাড়ছে গনোরিয়া এবং সিফিলিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। কন্ডোম ছাড়া যৌনমিলনই রোগের বাড়বান্তের জন্য দায়ী। ওয়াশিংটন পোস্টের একটি প্রতিবেদন এমনটাই বলছে।
আমেরিকার স্বাস্থ্য ও মানব পরিষেবা দফতরের একটি সমীক্ষা অনুসারে, ২০১১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পুরুষদের প্রধান গর্ভনিরোধক হিসাবে কন্ডোমের ব্যবহার করার হার ৩৩ শতাংশ কমেছে। ২০১১ সালে ৭৫ শতাংশ পুরুষ কন্ডোম ব্যবহার করতেন। সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২১ সালে মাত্র ৪২ শতাংশ পুরুষের প্রাথমিক পছন্দের তালিকায় কন্ডোম থাকে।
চিকিৎসকদের মতে, এই প্রবণতা যৌনরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। সিফিলিসের মতো রোগের ফলে বন্ধ্যত্ব, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ক্ষতি এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। অন্য দিকে, গনোরিয়া রোগটির বিরুদ্ধে আর তেমন ভাবে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না, যা যথেষ্ট চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের।
সেপ্টেম্বরে এসটিডি প্রতিরোধ সম্মেলনের সময়ে, এসটিডি পরিচালকদের জাতীয় জোটের নির্বাহী পরিচালক ডেভিড হার্ভে, এসটিডি হার সম্পর্কে বলেন, ‘‘যৌনরোগে আক্রান্ত হওয়ার হার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে’’।
২০২১ সালে, আমেরিকায় গনোরিয়া, সিফিলিস এবং ক্ল্যামাইডিয়ার মোট ২৫ লক্ষ নতুন রোগীর হদিস মিলেছে।
১৯৯১ সাল থেকে সিফিলিসে আক্রান্ত রোগীর সংক্ষা ২০২১ সালে সর্বোচ্চ। ২০২১ সালে মোট ১,৭১০৭৪টি নতুন রোগী ধরা পড়েছে। জন্মের পরেই এই রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যাও বেড়েছে। ২০২১ সালে ২,৬১১টি শিশু মাতৃগর্ভেই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ২০২০ সালে প্রায় ১৩৯ জন নবজাতকের মৃত্যু হয়েছিল এই রোগের কারণে।
কী কারণে কন্ডোম ব্যবহারে অনীহা?
চিকিৎসকদের মতে, সমকামীদের মধ্যে গর্ভধারণ করার আশঙ্কা নেই, তাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা মনে করেন কন্ডোমের প্রয়োজন নেই। কন্ডোম যে যৌনরোগ প্রতিরোধ করতেও জরুরি সেটা তাঁরা জেনেও জানেন না! পাশাপাশি ইদানীং গর্ভ নিরোধকের একাধিক বিকল্প ও ওষুধ বেড়িয়ে গিয়েছে, সে কারণেও কন্ডোম ব্যবহারে অনীহা তৈরি হয়েছে তরুণ প্রজন্মের মনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy