সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে গেলে ডায়েট গুরুত্বপূর্ণ, বলেন বি টাউনের তারকা থেকে চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদেরা। তবে ডায়েট মানে কম খাওয়া বা না খেয়ে থাকা নয়। বরং শরীরের প্রয়োজনীয় ক্যালোরির শর্ত পূরণ করা প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেটের মাধ্যমে। দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় থাকা দরকার ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ।
পুষ্টিবিদেরা বলেন, ওজন কমাতে প্রোটিন যেমন জরুরি, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ হল ফাইবারে সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। মেদ ঝরানো, দৈনন্দিন ডায়েট নিয়ে নানা রকম ভিডিয়ো, পরামর্শ রয়েছে সমাজমাধ্যমে। তা থেকে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন রকম ধ্যানধারণাও। কিন্তু সেগুলি কতটা ঠিক?
ফাইবার তো ফাইবার, তার আবার ভাগ আছে নাকি!
এমনটা ভাবেন অনেকেই। কিন্তু একটি ফাইবার জলে দ্রবীভূত হয়, এটি হজমের গতি শ্লথ করে। আর ধরনের ফাইবার রয়েছে, যা জলে মিশে যায় না। এই ধরনের ফাইবার অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে, ‘ইন্টেস্টাইনাল মুভমেন্ট’-এ সাহায্য করে। ‘ল্যানসেট’ জার্নালে ২০১৯ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র বলছে, প্রতি দিন ৫০ গ্রাম করে ডায়েটরি ফাইবার খাদ্যতালিকায় থাকলে আয়ু বৃদ্ধি পাবে। একই ভাবে অসুখের ঝুঁকি কমাতেও তা সাহায্য করে।
আরও পড়ুন:
ফাইবার খেলেই শরীর ভাল থাকে
ফাইবার শরীরের জন্য ভাল। তাই যথাসম্ভব ফাইবার খাওয়া প্রয়োজন, এমনটাই ভাবেন অনেকে। তবে পুষ্টিবিদদের কথায়, একই শর্ত সকলের জন্য প্রযোজ্য নয়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ফাইবারে সমৃদ্ধ খাবার উল্টে হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে, গ্যাস হতে পারে। আমেরিকার কৃষি দফতর জানাচ্ছে, এক জন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষ দৈনিক ২৫-৩৮ গ্রাম পর্যন্ত ডায়েটরি ফাইবারে সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন।
ফাইবার জাতীয় খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কাজে লাগে
ফাইবার খেলে পেট পরিষ্কার হবে, সকলে তা-ই জানেন। কথাটা ঠিকই। তবে ফাইবারের ভূমিকা শুধু এইটুকুই নয়। ‘ব্রিটিশ মেডিক্যাল’ জার্নালে প্রকাশিত ২০১৪ সালের গবেষণাপত্র বলছে, কার্ডিয়োভাস্কুলার অসুখের ঝুঁকি কমায় ফাইবার। সে কারণে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সঠিক মাত্রায় ফাইবার থাকা দরকার।