কী কারণে ছুটি নেওয়া হল, তার প্রমাণ দিতে হবে কর্মীকে। ছবি- সংগৃহীত
কাজ থেকে ছুটি চেয়ে ঊর্ধ্বতনের কাছে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছিলেন এক কর্মী। ছুটি নেওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছিলেন চিঠিতে। ১২ দিনের ছুটি মঞ্জুর হলেও ঊর্ধ্বতনের নির্দেশে তাজ্জব হয়ে গিয়েছিলেন কর্মী নিজেই।
চিনা রীতি অনুযায়ী, বছরের নির্দিষ্ট সময়ে সমাধিস্থল পরিষ্কার করা, পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো তাঁদের সংস্কারের একটি অঙ্গ। সেই কারণ দেখিয়েই ছুটির আবেদন করেছিলেন ওই কর্মী। ১২ দিনের ছুটি মঞ্জুর হলেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ওই কর্মীর কাছে দাবি করেন, সেখানে গিয়ে সমাধিস্থলের ছবি পাঠাতে হবে। কী কারণে ছুটি নেওয়া হল, তার প্রমাণ দিতে হবে ওই কর্মীকে।
প্রতিবাদস্বরূপ এই ঘটনার কথা সমাজমাধ্যমে তুলে ধরেন ওই কর্মী। লেখেন, “আমি আমার পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ছুটি চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই ছুটির কারণ কী, তা ছবি তুলে দেখাতে হবে, এমনটা কোনও দিন কোথাও শুনেছি বলে মনে হয় না। শুধু তা-ই নয়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নাকি তাঁকে এমন প্রশ্নও করেছেন যে, শ্রদ্ধা জানাতে ১২ দিনের ছুটি প্রয়োজন হবে কেন।”
সমাজমাধ্যমে এই ছবি ছড়িয়ে পড়া মাত্রই নানা দিক থেকে উড়ে এসেছে মন্তব্য। অনেকেই ওই কর্মীকে পরামর্শ দিয়েছেন, এমন সংস্থার হয়ে কাজ না করার জন্য। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিতেও পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে। মন্তব্যকারীদের মধ্যে এক জন লিখেছেন, “সিনিয়র হিসাবে ছুটি নেওয়ার কারণ জানতে চাওয়া অপরাধের নয়। কিন্তু প্রমাণ চাওয়া বাঞ্ছনীয় নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy