বাজির রাসায়নিক ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে।
আলোর উৎসব আর শুধুমাত্র আলোয় সীমাবদ্ধ নেই, বরং আলোর চেয়েও বেশি করে শব্দ আর ধোঁয়া এসে এর হাত ধরেছে। এক রাতেই দূষণের মাত্রাকে চূড়ান্ত স্তর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে দীপাবলির রাত। বাজির ধোঁয়া যে ফুসফুসের ক্ষতি করে এ কথা সকলেরই জানা, কিন্তু এই বাজির উপাদান যে ত্বকের পক্ষেও মারাত্মক সে কথায় সায় দেন সব চিকিৎসকই।
আইন মোতাবেক ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ হয়েছে শব্দবাজি। তবু উৎসবমুখর মানুষের ভিড়ের কমতি নেই বাজির দোকানে। আর এই সব আলোর বাজির মধ্যে রয়েছে কার্বন আর সালফার। এই দুই মূল উপাদান আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর আরও কিছু উপাদান এতে মজুত থাকে। আর্সেনিক, ম্যাঙ্গানিজ, সোডিয়াম অক্সালেট, আয়রন ডাস্ট, অ্যালুমিনিয়াম, সোডিয়াম অক্সালেট, বেরিয়াম নাইট্রেট, পটাসিয়াম পারকোলেট এই সবগুলিই ত্বকে প্রদাহ তৈরি করতে একাই একশো।
তাই বাজি পোড়ানোর আগে ও পরে বিশেষ খেয়াল রাখতে হয় ত্বকেরও। শিশু হোক বা বয়স্ক, ত্বকের কথা না ভেবে বাজি পোড়ালে সে ক্ষতির দায় নিতে হবে নিজেকেই। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ কৌশিক লাহিড়ীর মতে, বাজি থেকে ত্বকে বিভিন্ন রকমের সংক্রমণ ঘটতেই পারে। তাই সাবধান থাকতেই হবে। তিনিই বাতলালেন এমন কিছু নিয়ম, যাতে ত্বক সুস্থতার পথে এগিয়ে থাকবে আরও কয়েক ধাপ।
আরও পড়ুন: বাজির ধোঁয়ায় লুকিয়ে ফুসফুসের বিপদ, কী ভাবে বাঁচবেন
জলই হল সেরা ক্লিনজার
জল সেরা ক্লিনজার: অনেকেই বাজি পুড়িয়ে হাত-পা ধুতে নানা রাসায়নিক প্রসাধনী ব্যবহার করেন। এই কাজ তেকে বিরত তাকুন। জলের চেয়ে ভাল ক্লিনজার দুনিয়ায় কিচ্ছু নেই। তাই বাজি পুড়িয় ঠান্ডা জলে হাত-পা-মুখ ধুয়ে ত্বকে ক্যালামাইন জাতীয় ময়শ্চারাইজার মাখুন। সাবান বান অন্য ক্লিনজারের চেয়ে ত্বক অনেক বেশি আরাম পাবে।
পোশাকে নজর: বাজি পোড়ানোর সময় সুতির পোশাক যেমন আবশ্যিক, তেমনই নজর রাখতে হবে পোশাক যেন আঁটসাঁট হয়। সে ক্ষেত্রে পশ্চিমী পোশাকই উপযোগী। জিনস, সুতির পোশাক এ ক্ষেত্রে সেরা। কোনও রকম সিন্থেটিক, পলিস্টার, জর্জেট, শিফন বা সিল্ক জাতীয় পোশাক পরে বাজির সামনে যাওয়াও ভুল।
শিশুকে সামলে: বাজি পোড়ানোর সময় শিশুদের একা ছেড়ে দেওয়া ঠিক নয় একেবারেই। শিশুর হাতে বাজি না দিয়ে শিশুকে বরং দেখার আনন্দের অংশেই ভাগ বসাতে দিন। একান্তই শিশুকে বাজি দিতে হলে আঁশ ছাড়ানো পাটকাঠির মারফত বাজি পোড়াতে সাহায্য করুন। হাতের কাছে অবশ্যই মজুত রাখুন এক বালতি ঠান্ডা জল। কোনও অবস্থাতেই তাদের দিক থেকে নজর সরাবেন না। রংমশাল, তুবড়ি, রকেট— যে সব বাজিতে বিস্ফোরণ ঘটার সম্ভাবনা বেশি, সে সব ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করুন। সে সব বাজি সরাসরি হাতে তুলে দেবেন না।
বাজি পোড়ানোর সময় খেয়াল রাখুন এ সব। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
মাস্ক: শ্বাসকষ্ট ও র্যাশের শিকার হতে পারেন বাজির দাহ্য পদার্থ ও রাসায়নিক থেকে। তাই এ সব পোড়ানোর সময় অবশ্যই নাক-মুখ চাপা দিতে পাতলা সুতির কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করুন।
আরও পড়ুন: ত্বক সহজেই শুষ্ক হয়ে পড়ে? এ সব ঘরোয়া উপায়ে আর্দ্রতা থাকবে অটুট
বাজির অবশিষ্টাংশ: পুড়ে যাওয়া বাজির আগুন পুরোপুরি না নিভিয়ে কখনওই যেখানে সেখানে ছুড়ে ফেলবেন না। অনেক সময় ভিতরে দাহ্য পদার্থ থেকে যায়। তা থেকে অন্যের বিপদ হতে পারে। তাই বাজি পুরো পুড়ে যাওয়া অবধি অপেক্ষা করুন এবং একটি নির্দিষ্ট জায়গায় সব অবশিষ্টাংশ জড়ো করে এক সঙ্গে কোনও নিরাপদ জায়গায় ফেলুন।
জুতো: বাজি পোড়ানোর সময় অবশ্যই পায়ে রাখুন রবারের জুতো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy