সকাল থেকে পাড়ায় বেজেই চলেছে ‘খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল’। দু’দিন ধরে শরীরের এমন অবস্থা যে, দ্বার খোলা তো দূর, জ্বর নিয়ে বিছানা থেকে উঠতেই পারছেন না। প্রতি বছরই দোলের সময়ে আবহাওয়া এমন খামখেয়ালিপনা শুরু করে। ফলে যাঁদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি দুর্বল, তাঁরা সহজেই আক্রান্ত হন। এ ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। ওষুধ খেলেও শরীর তেমন জুতসই হচ্ছে না। বাইরে রঙের ছটা দেখে মন আরও খারাপ হয়ে উঠেছে। এ বছর বাইরে গিয়ে রং খেলতে না পারলেও বাড়িতে বসেই মন ভাল রাখার কয়েকটি উপায় দেওয়া রইল এখানে।
আরও পড়ুন:
১) দোল উপলক্ষে অনেক রেস্তরাঁই বিশেষ খাবারের আয়োজন করে। বাড়ি থেকে বেরোতে না পারলে অনলাইনে অর্ডার দিয়ে সেই সব খাবার আনিয়ে খেতে পারেন। ঠান্ডাই না খেলেও গুজিয়া, পুরান পোলি, জিলিপি, মালপোয়ার মতো নানা রকম মিষ্টি তো রয়েছেই।
২) শারীরিক অবস্থা যদি একটু ভালর দিকে থাকে তা হলে বাড়িতেই বন্ধু-বান্ধবকে ডাকতে পারেন। একটা ছুটির দিন ঘরে শুয়ে না কাটিয়ে একটু আড্ডা, গল্পগুজব, খাওয়াদাওয়া— সবই হতে পারে। নতুবা, বিকেল-সন্ধ্যার দিকে হাই-টি পার্টির আয়োজন করতে পারেন।
৩) বাড়িতে ছোটরা থাকলে তাদের নিয়ে রঙ্গোলির ব্যবস্থা করতে পারেন। হাতে বানানো গ্রিটিং কার্ড দেওয়ার চল এখন আর নেই বললেই চলে। সেই রেওয়াজ আবার ফিরিয়ে আনতে পারেন। উৎসবের দিনে বন্ধু-পরিজনকে একটু উপহার, মিষ্টি তো দিতেই হয়। সঙ্গে না হয় একটা নিজের হাতে আঁকা একটি কার্ড দিলেন।
আরও পড়ুন:
৪) কুচোকাঁচাদের নিয়ে প্রভাতফেরি করার পর, দোলের দিন সকাল থেকেই পাড়ায় নানা রকম অনুষ্ঠান চলে। রবি ঠাকুরকে দিয়ে দিন শুরু হলেও বেলা গড়াতেই গানের ধরন পাল্টে যায়। বাংলা ছেড়ে হিন্দি, গুজরাতি, মরাঠি নানা রকম গান বাজতে থাকে। বাইরে বেরোতে না পারছেন না বলে তো নাচতে কেউ বারণ করেনি! বাড়িতেই গানের তালে কোমর দোলান।
৫) পার্বণের দিনগুলোতে প্রিয়জন, কাছের মানুষেরা দূরে থাকলে মনটাও কেমন উতলা হয়ে ওঠে। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন ভার্চুয়াল জগতের মাধ্যমে। যে সব প্রবাসী বন্ধুর সঙ্গে উৎসব-অনুষ্ঠান ছাড়া কথাই হয় না, তাঁদের সঙ্গেও ভিডিয়ো কলে দেখা করতে পারেন। দোল উৎসবে সেখানে যদি কোনও অনুষ্ঠান হয়, তাতেও ভার্চুয়াল ভাবেই অংশগ্রহণ করতে পারেন।