ভাং ছাড়াও ঠান্ডাই বানানো সম্ভব। ছবি: সংগৃহীত।
বসন্তের মিঠে হাওয়া বইছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চড়ছে রোদও। কটকটে রোদ মাথায় নিয়ে রং খেলতে খেলতে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাবেই। তাই শরীর ঠান্ডা রাখতে দোলের দিন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই নানা রকম পানীয় খাওয়ার চল রয়েছে। উত্তর ভারতে হোলির দিন ঠান্ডাই খাওয়ার রেওয়াজ। দোলের শুধু ভাং না খেয়ে বাড়িতেই তৈরি করে ফেলতে পারেন বিশেষ এই পানীয়। অনেকের ধারণা, ঠান্ডাইয়ে ভাং দেওয়া হয়। ঠান্ডাইয়ে ভাং থাকে পারে। কিন্তু ভাং ছাড়াও ঠান্ডাই বানানো সম্ভব। কী ভাবে বানাবেন? রইল প্রণালী।
উপকরণ:
দুধ: ৩ লিটার
চিনি: ৪ কাপ
ছোট এলাচ: ৫টি
বড় এলাচ: ২টি
দারচিনি: ৫-৬ টুকরো
গোটা জিরে: ২ চা চামচ
গোলমরিচ: ২ চা চামচ
পোস্ত: ৪ টেবিল চামচ
চারমগজ: ২ টেবিল চামচ
কেশর: ২৫ গ্রাম
গোলাপ ফুলের শুকনো পাপড়ি: আধ কাপ
প্রণালী:
১) আগের দিন রাত থেকেই কাজু, পেস্তা, কাঠবাদাম একসঙ্গে ভিজিয়ে রাখুন।
২) এ বার মিক্সিতে সব ধরনের বাদাম, পোস্ত, চারমগজ, সামান্য জিরে, বড় এলাচ, দারচিনি, গোল মরিচ, কেশর, গোলাপ ফুলের শুকনো পাপড়ি দিয়ে ভাল করে বেটে নিন।
৩) এর মধ্যেই দিয়ে দিন পরিমাণ মতো দুধ। যাতে ঘন, থকথকে একটি মিশ্রণ তৈরি হয়।
৪) অন্য দিকে, বড় একটি পাত্রে অনেকটা দুধ ফুটতে দিন। ঘন হয়ে এলে তার মধ্যে দিয়ে দিন পরিমাণ মতো চিনি। দুধের সঙ্গে চিনি ভাল করে মিশে গেলে গ্যাস বন্ধ করে দিন।
৫) এ বার মিক্সিতে বেটে রাখা ঠান্ডাইয়ের মশলাটা দুধের সঙ্গে মেশাতে শুরু করুন। ভাল ভাবে মেশানো হয়ে গেলে ফ্রিজে রেখে দিন। অন্তত পক্ষে ৪ থেকে ৫ঘণ্টা রেখে দিতে হবে।
৬) পরিবেশন করার আগে আরও এক বার সমস্তটা ভাল করে মিশিয়ে, ছেঁকে নিতে হবে। চাইলে না-ও ছাঁকতে পারেন।
৭) মাটির ভাঁড় কিংবা গ্লাসে ঢেলে উপর থেকে উপর থেকে পেস্তা বাদামের কুচি এবং গোলাপ ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে দিলে দেখতেও ভাল লাগবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy