ট্রিমার ব্যবহারের খুঁটিনাটি। ছবি: সংগৃহীত।
সালোঁয় গিয়ে দাড়ি ছাঁটলেই হয়। কিন্তু সময়ের অভাবে বাড়িতেই কাজ সেরে নেন। এখন তো আবার দাড়ি রাখা ‘ইন থিং’। তাই খরচ করে বার বার সালোঁয় না গিয়ে, অনলাইনে দেখে, বেছে ভাল একটি ট্রিমার কিনে ফেলেছেন। কিন্তু গালের সব জায়গায় দাড়ির ঘনত্ব সমান রেখে ট্রিমার ব্যবহার করা সহজ নয়। শুরুর দিকে কোনও জায়গায় বেশি, আবার কোনও জায়গায় কম ট্রিমার চালিয়ে ফেলাই স্বাভাবিক। তবে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই ট্রিমার ব্যবহার করা সহজ হবে।
১) দাড়ি ট্রিম করার আগে গরম জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন। মাইল্ড কোনও ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারলে আরও ভাল। যাঁদের দাড়ি খুব ঘন, রোমগুলি মোটা, তা নরম হয় গরম জল বা সাবান ব্যবহার করলে। তবে অবশ্যই ট্রিম করার আগে দাড়ি ভাল করে শুকিয়ে নেবেন।
২) দাড়ি কতটা ছোট করতে চান, সেই বুঝে ট্রিমারের ব্লেড ও কম্ব সেট করে নিন। বাক্সের গায়ে বিভিন্ন ব্লেড, কম্ব এবং তার কার্যকারিতা সম্বন্ধে বিস্তারিত নির্দেশ দেওয়া থাকে। ব্যবহার করার আগে তা খুঁটিয়ে পড়ে নেওয়া ভাল।
৩) দাড়ি যদি খুব ছোট করতে না চান, তা হলে প্রথমেই খুব সরু কম্ব ব্যবহার করতে যাবেন না। ত্বকের থেকে কিছুটা দূরত্ব রাখে, এমন কম্ব লাগিয়ে ট্রিমার ব্যবহার করবেন।
৪) দাড়ির মুখ বুঝে ট্রিমার ব্যবহার করতে হয়। তেমনই ট্রিমার উল্টোদিকে টানলে অনেক সময় সমস্যা হতে পারে।
৫) গালে ট্রিমার চালালে খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে গলা, চোয়ালের হাড়, কান এবং ঠোঁটের পাশে ট্রিমার চালানোর সময়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতেই হয়। না হলে বিপদ ঘটার আশঙ্কা প্রবল।
৬) দাড়ি ছেঁটে নেওয়ার পরেও ঈষদুষ্ণ জলে অ্যান্টি-সেপটিক সলিউশন মিশিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। তার পর আফটার সেভ লোশন মাখা যেতে পারে। শুষ্ক ত্বক হলে ময়েশ্চারাইজ়ারও ব্যবহার করতে পারেন। ব্যবহার করতে পারেন বিয়ার্ড গ্রুমিং অয়েল।
৭) ট্রিমার শুধু ব্যবহার করলেই হবে না। দাড়ি ছেঁটে নেওয়ার পর তা ভাল করে পরিষ্কার করতে হবে। ট্রিমারের ছোট ছোট যন্ত্রাংশের খানাখন্দে দাড়ি, মৃত কোষ থেকে যেতে পারে। পরে সেখান থেকে সংক্রমণ হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy