ভারতীয় যোগাসনের অতি প্রাচীন পদ্ধতি ক্রৌঞ্চাসন। এক পা মুড়ে ও অন্য পা উপরে তুলে একটি বিশেষ ভঙ্গিমায় করতে হয় এই আসন। তাই এমন নামকরণ। ক্রৌঞ্চাসন নিয়মিত অভ্যাস করলে মেরুদণ্ড শক্তপোক্ত থাকে। পেট ও পায়ের পেশি শক্তিশালী হয়। শুধু তা-ই নয়, এই আসন সঠিক নিয়মে অভ্যাস করতে পারলে স্নায়ুর জটিল রোগের ঝুঁকি থাকে না। মেদ কমাতেও অত্যন্ত কার্যকরী এই আসন।
ক্রৌঞ্চাসন কী ভাবে অভ্যাস করবেন?
আসনের ভঙ্গিমা একটু জটিল। তাই এক দিনে হয়ত রপ্ত হবে না। ধীরে ধীরে এই আসন অভ্যাস করতে হবে। ধাপে ধাপে শিখে নিন পদ্ধতি।
১) প্রথমে হাঁটু মুড়ে বজ্রাসনে বসুন।
২) পরের ধাপে বাঁ পা নিতম্বের নীচেই রেখে ডান পা প্রসারিত করুন।
৩) সেই ভঙ্গিমায় থেকে ডান পা মুড়ে দুই হাত দিয়ে পায়ের পাতাটি ধরুন।
৪) পায়ের পাতা হাত দিয়ে ধরা অবস্থাতেই ধীরে ধীরে পা তুলতে হবে। এই সময়ে পিঠ ঝোঁকালে চলবে না। টান টান রাখতে হবে।
৫) ডান পা উপরে তুলে দুই হাত দিয়ে পায়ের পাতা টেনে ধরে রাখুন। যত বেশি টেনে ধরা যাবে ততই পেট ও তলপেটে চাপ পড়বে।
৬) শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে হবে।
৭) এই ভঙ্গিমায় ২০-৩০ সেকেন্ড থেকে পা নামিয়ে নিন। এর পর একই ভাবে অন্য পায়ে আসনটি করুন।
ক্রৌঞ্চাসন করলে কী লাভ?
১) পেট ও পায়ের পেশি টান টান থাকবে।
২) পেট ও ঊরুর মেদ ঝরবে।
৩) মেরুদণ্ড শক্তিশালী হবে।
৪) সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন সঠিক ভাবে হবে।
৫) হার্ট ও লিভার ভাল থাকবে।
৬) হজমশক্তি ভাল হবে। পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর হবে।
৭) নিয়মিত অভ্যাস করলে প্রজনন ক্ষমতা আরও ভাল হবে।
কারা করবেন না?
বাতের ব্যথা, হাঁটুতে আঘাত লাগলে বা অস্ত্রোপচার হলে এই আসন করা যাবে না।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এই আসন একেবারেই অভ্যাস করার চেষ্টা করবেন না।
হার্টের রোগ থাকলে এই আসন করবেন না।
প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া নিজে থেকে এই আসন না করাই ভাল।