পেটের স্বাস্থ্য ভাল না থাকলে শরীরে তার প্রভাব পড়বেই। বদহজম, ঘন ঘন অম্বল, পেটখারাপ হলে সহজেই বোঝা যায়, অন্ত্রের স্বাস্থ্য বিগড়েছে। তবে কারও অম্বলের ধাত কতটা, পেটের স্বাস্থ্য ভাল কি না, তা বুঝে নেওয়ারও সহজ পরীক্ষা আছে, বলছেন সমাজমাধ্যম প্রভাবী তানিয়া মালিক চাওলা। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি বলছেন, কারও অম্বলের ধাত আছে কি না, তা বুঝে নেওয়া যায় এক মিনিটের পরীক্ষায়। খালি পেটে সামান্য একটু বেকিং সোডা জলে গুলে খেতে হবে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই ঢেকুর উঠবে।
তার কারণ, বেকিং সোডা পেটের অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে গ্যাস উৎপাদন করে। তার ফলেই ঢেকুর ওঠে। কত ক্ষণে ঢেকুর উঠছে, তা থেকেই বোঝা যাবে অ্যাসিডের পরিমাণ কম না বেশি।
সাধারণত হজমের সমস্যা হলে ধরে নেওয়া হয়, শরীরে অ্যাসিড বেশি উৎপাদন হচ্ছে। তবে তানিয়া বলছেন, পাকস্থলীতে অ্যাসিড বা অম্লের পরিমাণ কম থাকলেও হজমে এবং পুষ্টি শোষণে সমস্যা হতে পারে। তাঁর যুক্তি মানছেন চেন্নাইয়ের পুষ্টিবিদ মিনু বালাজি। তিনিও বলছেন, ‘‘অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি অথবা কম— দুই ক্ষেত্রেই হজম, অম্বলের সমস্যা হতে পারে। পাকস্থলীতে থাকা হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড খাবারের কণা ভাঙতে এবং পাচকরস উৎপাদনে সাহায্য করে। শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যাসিড তৈরি হলে তা যেমন অম্বলের কারণ হতে পারে, তেমনই অ্যাসিডের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় কম হলেও হজমের গোলযোগ দেখা দিতে পারে।’’
আরও পড়ুন:
তবে এক মিনিটের এই ঘরোয়া পরীক্ষা-নিরীক্ষাকে মোটেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না মিনু। পুষ্টিবিদের বক্তব্য, ঢেকুর ওঠার নানা কারণ থাকতে পারে। অ্যাসিডের আধিক্য বা পরিমাণ কম থাকার জন্যও যেমন ঢেকুর ওঠে, তেমনই ক্ষুদ্রান্ত্রে ব্যাক্টেরিয়ার বাড়বৃদ্ধিও এর নেপথ্য কারণ হতে পারে। অতি দ্রুত, ঠিক করে চিবিয়ে না খেলে বা শরীরে বাতাস ঢুকে থাকলেও ঢেকুর উঠতে পারে।
ফলে বেকিং সোডা মেশানো জল খেয়ে এই পরীক্ষার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন থাকে। কারও খাবার আগেই ঢেকুর ওঠে। সুতরাং ঢেকুর উঠছে মানেই তা বেকিং সোডার জন্য না অন্য কারণে, বোঝা মুশকিল। তা ছাড়া এক এক জনের শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ এক এক রকম। দিনের বিভিন্ন সময়ে তার তারতম্য ঘটে। ফলে, এই পরীক্ষা যে সঠিক তথ্য দেবেই, তেমন কখনওই নয়।