কী ভাবে বসকে বলবেন, তিনি আসলে ভুল করছেন? ছবি: শাটারস্টক।
অধিকাংশ মানুষই এখন মানসিক ক্লান্তিতে ভোগেন। এর পিছনে একটি বড় কারণ হল কর্মক্ষেত্রে নানা ওঠাপড়া। কর্মক্ষেত্রে যে কারণগুলি আমাদের সারা ক্ষণ দুর্ভাবনায় রাখে, তার মধ্যে অন্যতম বড় কারণ হল বসের সঙ্গে মতের অমিল হওয়া। বসের সব কথাই আমাদের মনের মতো হবে, এমনটা ভাবার কারণ নেই। মানুষভেদে ভাবনা বা চিন্তাধারা আলাদা হবে এবং সেটাই স্বাভাবিক। তবে আপনি যে বসের কথার সঙ্গে সহমত নন, সেটাও বসকে জানানো জরুরি। কিন্তু তাঁর মুখের উপর সে কথা বলে দিলে তিনি রেগে যেতে পারেন কিংবা বিরক্ত হতে পারেন। আবার না বললেও আপনার সমস্যা। জেনে নিন, কোন কায়দায় বসের সামনে কথাটি রাখলে তাঁর রাগও হবে না, আর আপনার কাজও হয়ে যাবে।
১) বসের সঙ্গে অযথা তর্ক করতে যাবেন না। সবার আগে বসের কথার সঙ্গে আপনি কেন সহমত হতে পারছেন না, সেই যুক্তিগুলি নিজের কাছে তৈরি রাখুন। বসকে বুঝিয়ে বলতে হলে নিজেকে আগে ভাল করে বিষয়টি বুঝতে হবে।
২) সময়-সুযোগ বুঝে কথা বলুন। কনফারেন্স রুমে ঘরভর্তি লোকের সামনে আপনি বসের সঙ্গে সহমত হতে পারছেন না, সে কথা ভুলেও বলতে যাবেন না। আলাদা কোনও সময় একান্তে এই বিষয়ে বসের সঙ্গে কথা বলুন।
৩) যুক্তি তৈরি রাখুন। ‘বস্, আপনার সঙ্গে আমি সহমত হতে পারছি না’— এই কথাটা তখনই বলুন, যখন আপনি পাল্টা যুক্তি দিতে তৈরি। ঠান্ডা মাথায়, নীচু গলায় আপনার যুক্তিগুলি বসের সামনে তুলে ধরুন।
৪) আলোচনার সময় উত্তেজিত হয়ে পড়লেই কিন্তু মুশকিল। মেজাজ হারালে চলবে না। আপনার যুক্তির সাপেক্ষে বসও যুক্তি দিতে পারেন। বসের সঙ্গে তর্কে না গিয়ে মন দিয়ে সেই কথাগুলি ভাল করে বোঝার চেষ্টা করুন। হতেই পারে, আপনার বসের কথাটাই আসলে ঠিক। ভেবেচিন্তে তবেই সিদ্ধান্তে আসুন।
৫) এমনও পরিস্থিতি আসতে পারে, যখন বস্ আপনার কথা কিছুতেই মানতে চাইছেন না, আপনিও পিছু হটতে নারাজ। সে ক্ষেত্রে মাঝামাঝি কোনও এক পথ খোঁজার চেষ্টা করুন। আপনি কী ভাবে সেই কথাটি বসের সামনে তুলে ধরছেন, তাতেই আপনার বুদ্ধিমত্তা প্রকাশ পাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy