প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
বস্ যদি সব কথাতেই চিৎকার শুরু করেন, তা হলে কর্মক্ষেত্র দারুণ উদ্বেগজনক হয়ে উঠতে পারে। অফিস ঢুকতে না ঢুকতেই যদি বসের চিৎকার শুনতে হয়, তা হলে কাজটা ঠিক মতো করার মানসিক অবস্থা থাকে না। কিন্তু বস্ বলে কথা! আপনি ঠিক কী করে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করবেন, সেটাও বোঝা মুশকিল। প্রথমেই বুঝতে হবে, বস্ শুধু আপনার সঙ্গেই এই ব্যবহার করছেন, নাকি সকলের সঙ্গে। যদি আপনার মনে হয় আপনাকে আলাদা করে হেনস্থা করা হচ্ছে, তা হলে আপনি মানবসম্পদ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। যদি তেমন না হয়, তা হলে অবশ্য কিছু সমাধান রয়েছে এই পরিস্থিতির। জেনে নিন কী করণীয়।
১। ভুল স্বীকার করুন
যদি মনে হয়, আপনার সত্যিই কিছু ভুল ছিল, তা হলে সেগুলি মেনে নেওয়াই শ্রেয়। অহেতুক তর্ক করে বা অজুহাত দিতে গেলে পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যাবে।
২। আলাদা করে কথা বলুন
বার বার যদি সহকর্মীদের সামনে আপনার সঙ্গে চিৎকার করে কথা বলা হয়, তা হলে সেটা অপমানজনক লাগতেই পারে। তাই বসের সঙ্গে আলাদা করে একটি মিটিংয়ের অনুরোধ করুন। ঠান্ডা মাথায় সব সমস্যা আলোচনা করুন।
৩। সমাধান পথ দেখান
যদি কোনও বিষয় নিয়ে বসের সঙ্গে আপনার মতে অমিল হয়, তা হলে সেই নিয়ে তর্ক না করে অন্য ভাবে কী করে এগোনো যায়, তার একটি পরিকল্পনা করুন। এবং তা মিটিংয়ে আলোচনা করে দেখুন, বসের কী মত।
৪। ভুল না হলে স্পষ্ট করে বলুন
যদি মনে হয়, আপনার কোনও ভুল হয়নি, কিন্তু কোথাও ভুল বোঝাবুঝির কারণে বস্ আপনার সঙ্গে এই ধরনের ব্যবহার করছেন, তা হলে সেটা ঠান্ডা মাথায় ধীরে ধীরে বোঝানোর চেষ্টা করুন।
৫। ভুলেও চিৎকার করবেন না
‘ফ্যামিলি ম্যান’ এর দ্বিতীয় সিজনের একটি দৃশ্য সকলের দারুণ ভাল লেগেছিল। যখন মনোজ বাজপেয়ী অভিনীত শ্রীকান্ত তাঁর বসের দুর্ব্যবহার সহ্য না করতে পেরে বসের কলার ধরে টেবিলের উপর টেনে দারুণ কথা শুনিয়ে ছিলেন। দৃশ্যটি দেখে হাততালি দিতে ইচ্ছে করলেও বাস্তবে এমন কাজ করাটা খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। তাই বস্ যখন চিৎকার করছেন, যতই ইচ্ছে হোক, আপনি ভুলেও পাল্টা চিৎকার করবেন না। বরং পরিস্থিতি ঠান্ডা হওয়ার অপেক্ষা করুন। তারপর নিজের বক্তব্য জানানোর চেষ্টা করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy