করোনা আক্রান্তের দেখাশোনা হোক বিধি মেনে। ফাইল চিত্র
বাড়িতেই করোনা রোগীর যত্ন নেওয়া যায় বলছেন চিকিৎসকেরা। তা ছাড়া, হাসপাতালেও শয্যার সঙ্কট। ফলে ঘরে ঘরে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিজেদেরই দেখভাল করতে হবে রোগীর। তবে থাকতে হবে সাবধানে। যাতে পরিবারের একজনের থেকে আক্রান্ত না হয়ে পড়েন বাকিরা। রোগীর ঘরে যাওয়ার সময়ে কী ভাবে খেয়াল রাখতে হবে নিজের?
অন্তত তিনটি মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। রোগীর ঘরে তা ছাড়া ঢোকাই যাবে না। রোগীকে ছুঁয়ে দেখতে হলে হাতে গ্লাভস থাকাও জরুরি। তবে কোনও ভাবেই করোনা আক্রান্তের মুখে বা নাকে হাত দেওয়া চলবে না। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বাড়িতে একজন করোনায় আক্রান্ত হলেই বাকিদেরও বিপদের আশঙ্কা থাকে। ফলে রোগীর ব্যবহার করা কোনও জিনিসে হাত না দেওয়াই ভাল। করোনা আক্রান্তের পোশাক, বিছানার চাদর, বাসন পরিষ্কার করতে হলে গ্লাভস পরে নিতে হবে। সে সময়ে মুখেও মাস্ক থাকাও জরুরি। আশপাশে রোগী নেই বলে অসাবধান হওয়া যাবে না। কাজ হয়ে গেলে সেই গ্লাভস ও মাস্ক সরিয়ে রাখতে হবে খুব সাবধানে, একটি জীবাণুমুক্ত ব্যাগে ভরে।
রোগীর সঙ্গে এক ঘরে বসে খাওয়াদাওয়া করা একেবারেই চলবে না। চিকিৎসকেদের বক্তব্য, রোগীকে খাওয়াদাওয়া সারতে হবে নিজের ঘরে বসেই। তাঁর ব্যবহার করা সব বাসন রাখতে হবে একেবারে আলাদা। বাড়ির আর কেউ সে সবে হাত না দেওয়া ভাল।
খেয়াল রাখা জরুরি যে, রোগীর ঘরে বারবার না যাওয়াই ভাল। প্রয়োজন হলে তবেই যেতে হবে। একসঙ্গে বসে গান শোনা, টিভি দেখার মতো কাজ একেবারেই করা যাবে না। যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখতে হবে বাড়ির মধ্যেও।
মাস্ক খোলা ও পরার নিয়ম ভাল ভাবে জেনে নেওয়া জরুরি। রোগীর ঘর থেকে বেরিয়ে এসে হাতে সাবান দিয়ে ভাল করে ধুতে হবে। তার পরে মাস্কে হাত দেওয়ার প্রশ্ন। ব্যবহৃত মাস্কের সামনের অংশে কখনও হাত দেওয়া যাবে না। কানের পাশের ইলাস্টিকে হাত দিয়ে মুখ থেকে মাস্ক সরাতে হবে। তার পরে আবার হাত স্যানিটাইজ করে নেওয়া জরুরি।
খেয়াল রাখা দরকার, নিজে সুস্থ থাকলে তবেই বাড়ির বাকিদের যত্ন নেওয়া সম্ভব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy