সুস্থ থাকতে গেলে শরীরচর্চা করতে হবে। তা সে জিমে গিয়েই করুন, বা বাড়িতে। যোগাসন যাঁরা করবেন ভাবছেন, তাঁরা শুরুতে সহজ আসন দিয়ে শুরু করতে পারেন। কোনও আসনই প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া করা উচিত নয়। তবে ক্রিকোণাসন, পরিবর্ত ত্রিকোণাসন অনেক বেশি নিরাপদ। পা, কোমর বা পিঠের ব্যথায় যাঁরা কাতর, তাঁরা এই আসন অভ্যাস করতেই পারেন।
সংস্কৃতে ‘ত্রিকোণ’ শব্দটির অর্থ হল ত্রিভুজ। অর্থাৎ শরীরেরর ভঙ্গি এমন হবে, যাতে দেখতে অনেকটা ত্রিভুজের মতো লাগে। আর পরিবর্ত ত্রিকোণাসনকে ‘আবর্তিত ত্রিভুজ ভঙ্গি’ও বলা হয়। এই আসন দেহের ভারসাম্য রক্ষা করতে ও মেরুদণ্ডের জোর বাড়াতে খুবই উপযোগী।
কী ভাবে করবেন?
১) প্রথমে দু’টি পা ফাঁক করে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে।
২) দুই পায়ের পাতার মধ্যে অন্তত এক ফুটের মতো ব্যবধান রাখতে হবে।
৩) হাত দু’টি দু’পাশে লম্বা করে দিন। এ বার বাঁ পাশে শরীরকে বেঁকিয়ে বাঁ হাত দিয়ে বাঁ পায়ের আঙুলকে স্পর্শ করুন।
৩) ডান হাতটি উপরের দিকে একেবারে সোজা করে রাখতে হবে। হাঁটু দু’টি ভাঙা চলবে না। এই ভাবে দশ অবধি গুনুন।
৪) শরীর ঝোঁকানোর পরে মাথা ঘুরিয়ে উপর দিকে তাকাতে হবে।
৫) একই ভাবে ডান হাত দিয়ে ডান পায়ের আঙুল স্পর্শ করুন। ৩ বার এই আসনটি করুন।
আরও পড়ুন:
কেন অভ্যাস করবেন?
· এই আসন অভ্যাস করলে পা, পিঠ, কোমরের সঙ্গে সঙ্গে ঘাড়, কাঁধের পেশি মজবুত হয়।
· মেরুদণ্ডের জোর বাড়ে। স্নায়ুর জটিল রোগের ঝুঁকিও কমবে।
· ফুসফুসের জোর বাড়াতেও এই আসন উপযোগী। নিয়মিত অভ্যাসে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
· শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে এই ব্যায়াম।
· নিয়মিত এই আসন অভ্যাস করলে অস্টিয়োপোরোসিস, সায়াটিকার ব্যথা দূর হবে।
· হজমশক্তি উন্নত হবে, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমবে।
কারা করবেন না?
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এই আসন প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া করা ঠিক হবে না। মেরুদণ্ডে আঘাত থাকলে বা কোনও রকম অস্ত্রোপচার হলে এই আসন অভ্যাস করা যাবে না।
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া পরিবর্ত ত্রিকোণাসন অভ্যাস করবেন না।