অনেকেই ভাড়া বাড়িতে থাকেন। দেওয়ালে রং করানোর মতো বাজেট থাকে না বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই। তবে নোংরা একঘেয়ে দেওয়াল দেখতেও ভাল লাগে না কারও। রঙের বিকল্প হিসাবে বাজারে রয়েছে একটি চমৎকার সমাধান— আঠা লাগানো ওয়ালপেপার। অনলাইনে সহজলভ্য, স্টিকারের মতো পিছনের কাগজ খুললেই আঠা লাগানো ওয়ালপেপার মুহূর্তে তৈরি। দেওয়ালে সহজে লাগানো যায়, আবার বাড়ি ছাড়ার সময়ে অনায়াসে খুলেও ফেলা যায় দেওয়ালের কোনও রকম ক্ষতি না করেই। তবে এগুলি কেনার আগে কিছু বিষয়ে মাথায় রাখা আবশ্যিক। না হলে মাঝেমাঝে বেশি ঝামেলায় প়ড়তে হয়।

১। যতটা সহজ লাগানো মনে হবে, ততটা আদপে নয়। অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ ওয়ালপেপার পেশাদারদের দিয়ে লাগিয়ে নেওয়া অনেক বেশি সহজ। এক বার আঠা খুলে লাগানো শুরু করলে ভুল ভ্রান্তি হলে একটু মুশকিল। বিশেষ করে হাওয়া ঢুকে বুদবুদের মতো যদি উঠে থাকে সেটাও খুব একটা ভাল দেখায় না।

২। ওয়ালপেপার অনলাইনে রোল হিসাবে কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু সাধারণ ওয়ালপেপারের চেয়ে এগুলির রোলে অনেকটাই কম থাকে। তাই রোল হিসাবে নয়, স্কোয়্যার ফুট হিসাবে কিনুন। দামের তফাতও সে ভাবেই করবেন।

৩। ধীরে ধীরে করবেন। পুরোটা একসঙ্গে খুলে লাগানোর চেষ্টা করবেন না। তাহলেই বেশি গোলমাল হয়ে যায়।

৪। এমন নকশা না কেনাই ভাল যেগুলি একটার পর একটা লাগালে মেলাতে অসুবিধা হবে। তাই নকশা যতই সুন্দর লাগুক, ছিমছিম ডিজাইনই কেনা ভাল।

৫। ছোটখাটো ভুলভ্রান্তি হলে বেশি মন খারাপ করবেন না। এই ওয়ালপেপারগুলি এক-দু’বার ফের খুলে লাগানো যায়। তবে মনে রাখবেন, যতটা ধীরে ধীরে করবেন তত ভাল ফল পাবেন। হাওয়া ঢুকে বুদবুদ তৈরি হলে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড দিয়ে চেপে চেপে সমান করে দিন।

৬। বাড়তি ওয়ালপেপার থাকলে ভুলেও ফেলে দেবেন না। কোনও অংশ ভবিষ্যতে কোনও কারণে নোংরা হয়ে গেলে আপনি সেই জায়গায় ব্যবহার করে নিতে পারবেন।

৭। লাগানোর আগে দেওয়াল অবশ্যই ভাল করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। ধুলোবালি থাকলে আঠা লাগতে অসুবিধা হবে।