নিজের বাড়ি, ঘর, বিছানাটুকু যতই প্রিয় হোক না কেন, এক সময় একই ঘর, আসবাবপত্র দেখে দেখে মন ক্লান্ত হয়ে যায়। দৈনন্দিন কাজের চাপের প্রভাব মনে পড়েই। তার উপর দীর্ঘদিন অন্য কোথাও যাওয়ার সুযোগ না হলে শরীর-মন ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তবে ঘরের জিনিসপত্র খানিক বদলে দিলেও চেনা বাড়িঘর একটু অন্যরকম লাগতে পারে। এতে একঘেয়েমি কিছুটা হলেও দূর হতে পারে। পাশাপাশি ঘর লাগবে নতুনের মতো।

ঘরের দেওয়াল, মেঝে তো কথায় কথায় বদলে ফেলা যায় না। তবে আসবাবপত্র এদিক-ওদিক করা যায়। হয়তো বসার ঘরে, সোফার জায়গা পরিবর্তন করলেন, টেবিলটা বদলে দিলেন, কিছু পুরনো ঘর সাজানোর জিনিস সরিয়ে ফেললেন। এতে অন্দরসজ্জা বদলে যাবে। শোবার ঘরের খাট-আলমারির অবস্থান বদলালেও, বৈচিত্র আসবে।

কুশন

সোফার ঢাকনা থেকে কুশনের ঢাকনা বদলে দিলে চেনা জায়গাই অন্য রকম লাগবে। এখন মাছ, বিড়াল, তিন কোনা, ফুলের আকৃতি-সহ বিভিন্ন কুশন পাওয়া যায়। কুচি দেওয়া, সুতির, রঙিন, সাদা বিভিন্ন ধরনের কুশনের ঢাকনাও পাওয়া যায়। এই সমস্ত বদলে ঝক্কি নেই। সামান্য খরচ করলেই নতুন জিনিস পাওয়া যাবে। তাই অন্দরসজ্জা বদলাতে কুশন দিয়েও শুরু করতে পারেন।

পর্দা ও চাদর

ঘরের পর্দা, সোফা ও বিছানার চাদর পাল্টে ফেললে, খুব সহজে চেনা ছবিটা পাল্টে দেওয়া যায়। ১৫ দিন অন্তর পর্দা বদলাতে পারেন। কখনও হালকা আবার খনও গাঢ় রঙের পর্দায় ঘরটাও অন্যরকম লাগবে। চাদরেও আনতে পারেন বৈচিত্রের ছোঁয়া।

দেওয়ালের সজ্জা

দেওয়ালের রং বদলানো না গেলেও, তা সাজিয়ে তোলা যায়। বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজের জিনিস পাওয়া যায় দেওয়াল সাজানোর জন্য। ছবি ছাড়াও নানা ধরনের মুখোশ, নতুন ধরনের দেওয়াল ঘড়ি, আয়না দিয়ে দেওয়াল নতুন করে সাজিয়ে তুলতে পারেন।

ফুলদানি ও টাটকা ফুল

বিভিন্ন ধরনের ফুলদানি পাওয়া যায়। পাথরের, কাঠের, চিনামাটির। ফুলদানিতে এখন লেগেছে শিল্পের ছোঁয়া। ঘরের সঙ্গে মানানসই এমন কিছু নতুন ফুলদানি, তাতে টাটকা ফুল ভরে, রাখলে ঘর সুন্দর লাগবে। শুধু ফুলদানি নয়, কাচের সুদৃশ্য পাত্র পাওয়া যায়। কাচের বদলে পিতলের নকশাকাটা থালাও নিতে পারেন। কাচের পাত্রে জল দিয়ে রঙিন ফুল ভাসিয়ে রাখলে দেখতে ভাল লাগবে। টাটকা ফুল না রাখতে পারলে, জলে কৃত্রিম ফুলও রাখতে পারেন।

পাখা ও ঝাড়লণ্ঠন

বাড়িতে এসি থাকলেও, পাখা থাকবেই। ইদানীং বিভিন্ন ধরনের পাখা পাওয়া যাচ্ছে। সুন্দর রং, নকশার পাখাও কিন্তু ঘরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিতে পারে। যদি বাড়িতে তিন ধাপের সিঁড়ি থাকে, তাহলে একদম উপরের ছাদ থেকে মাঝ বরাবর লম্বা ঝাড় লাগিয়ে দিলে, সম্পূর্ণ বাড়ির সৌন্দর্যই বদলে যাবে।