হেঁশেলের ফেলে দেওয়া উপকরণ দিয়েই করুন গাছের পরিচর্যা। ছবি: সংগৃহীত।
গাছ ভালবাসেন? বাড়ির ছোট বারান্দাটিতেই সাধের বাগান করেছেন? নিয়মিত জলও দিচ্ছেন। তবুও কী করলে আপনার পছন্দের গাছের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে এই নিয়ে চিন্তা কিন্তু থেকেই যায়। আপনার হাতের কাছেই কিন্তু রয়েছে সহজ সমাধান! রান্নাঘরে রোজ সব্জির খোসাগুলি ফেলে দেন, ভাবেন কোনও কাজে লাগবে না। কিন্তু জানেন কি আপনার গাছ ভাল রাখতে এই বাতিল হওয়া জিনিসগুলিই কাজে আসতে পারে। ভাল সার হিসেবে কাজ করতে পারে এই রকম কয়েকটা জিনিসের হদিস রইল এখানে।
সব্জির খোসা
আলু, পটল, ঝিঙে, কুমড়ো ছাড়াও যে সব সব্জি ব্যবহার করেন, তার খোসা একটি পাত্রে জমা করে রাখুন। এই খোসা খুবই ভাল উৎকৃষ্ট সার হতে পারে গাছের জন্য। সব্জি ছাড়াও কলা খাওয়ার পর খোসাগুলি একটি পাত্রে মজুত করুন। কলার খোসায় পটাশিয়াম, ফসফরাসের মতো উপাদান থাকে, যা গাছের জন্য বেশ উপকারী। কলার খোসা সব বাড়িতেই কমবেশি পাওয়া যায় এবং সার তৈরির খুব ভাল উপাদানও বটে।
পুরনো সব্জি
ফ্রিজে অনেক দিন রেখে দেওয়ার পর কিছু নষ্ট হয়ে যায়। তখন সেই সব্জি রান্নায় ব্যবহার করা যায় না। ফেলে না দিয়ে সার তৈরির পাত্রে রেখে দিন। কিছু দিন রাখার পর এটিও ভাল সার হবে।
কফির গুঁড়ো
কফির গুঁড়োতে নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম, ফসফরাসের মতো উপাদান রয়েছে যা গাছের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সার হিসেবে সরাসরি মাটিতে দিতে পারেন। বাগান ভালবাসেন যাঁরা, তাঁরা রীতিমতো এই কফির গুঁড়ো সংগ্রহে রাখেন। বর্ষায় পোকামাকড়ের হাত থেকে গাছকে বাঁচাতেও কফি বেশ উপকারী।
ব্যবহৃত টি ব্যাগ ও চা পাতা
চায়ে ব্যবহৃত টি ব্যাগ গাছের সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। চা ছাঁকার পর যে অবশিষ্ট চা পাতা পরে থাকে, সেটাও সার হিসেবে খুব ভাল। তবে দুধ-চায়ের পাতা না লিকার চা কিংবা গ্রিন টি-র পাতা ব্যবহার করাই ভাল।
ডিমের খোসা
ডিমের খোসায় রয়েছে ক্যালশিয়াম। এটি গাছের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সার তৈরির জন্য এটি ভীষণ ভাল উপাদান। ভাল করে ডিমের খোসা ধুয়ে নিন, তারপর একটি ব্লেন্ডারে গুঁড়ো করে নিন। আপনার তৈরি করে রাখা সারের সঙ্গে মিশিয়ে দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy