বাড়ির বারান্দাটি হয়ে উঠুক মনের মত। ছবি: সংগৃহীত।
মন খারাপ হলে বাড়ির বারান্দায় গিয়ে সময় কাটান অনেকেই। সকালের প্রথম চা-টা বারান্দায় বসে না খেলে অনেকেরই দিনের শুরুটা ভাল হয় না। ছুটির দিনে বিকেলের পড়ন্ত রোদে বারান্দায় বসে গল্পের বই পড়া কিংবা গান শুনতে ভালবাসে অনেকেই। বাড়ির এই প্রান্তটি মনের খুব কাছে হলেও এই জায়গার সাজসজ্জা নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামান না কেউই।
অবসর সময় কাটানোর এই ঠিকানাটির ভোল বদল করতে পারেন খানিকটা সময় খরচ করেই। গাছপালা তো রয়েছেই, এর সঙ্গে একটু বসার জায়গা থাকলে কেমন হয়? ছোট্ট বারান্দায় মানানসই আসবাব রাখতে পারলে বারান্দার চেহারা যেমন পালটে যায়, তেমনই বসার আয়োজনও হয়ে যায় একাধারে। কী ভাবে করবেন ছোট্ট বারান্দার ভোলবদল, রইল তার হদিস।
বসার ব্যবস্থা করুন: বারান্দায় বসে গল্প করতে বা চা-কফি খেতে কার না ভাল লাগে! তাই বারান্দায় একটা বসার ব্যবস্থা অবশ্যই করবেন। ছোট্ট টেবিল আর দু’টি চেয়ার পাততে পারেন। জায়গা খুব ছোট হলে ফোল্ডিং চেয়ার-টেবিল কিনুন। তার সঙ্গে রঙিন কুশন।
থাকুক সবুজের আভা: বারান্দা সাজাতে হলে সবুজে মুড়ে ফেলতে পারেন। মাটিতে বেশি জায়গা না হলে নানা আকারের রংবেরঙের ঝোলানো টব লাগান। মরসুমি ফুলের গাছ লাগালে দেখতে সুন্দর লাগবে। তা ছাড়াও বুগেনভিলিয়ার মতো লতানো ফুলের গাছও লাগাতে পারেন। মানিপ্ল্যান্ট নিয়ে বারান্দার গ্রিলে জড়িয়ে পেলতে পারেন, দেখতে বেশ ভাল লাগবে।
সাজিয়ে তুলুন দেওয়াল: নীচে খুব বেশি জিনিস দিয়ে জায়গা ভর্তি না করে বারান্দার দেওয়ালগুলি ব্যবহার করতে পারেন। ছবি, আয়না বা ঘর সাজানোর জিনিস দিয়ে সাজানো তাক, ওয়াল হ্যাঙ্গিং তো ঝোলাতেই পারেন। বাড়িতে খুদে ছবি আঁকতে ভালবাসে? তা হলে তাদের আঁকা ছবিগুলি বাঁধিয়েও সাজিয়ে তুলতে পারেন বারান্দা।
আলো রোশনাই থাকুক বারান্দা জুড়ে: বারান্দায় টুনি লাইট লাগাতে পারেন। কিংবা কৃত্রিম মোমবাতি দিয়েও সাজাতে পারেন। সন্ধ্যার পর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা জমবে এখানেই। কিংবা বিশেষ দিনে পছন্দের মানুষের সঙ্গে সময় কাটানোর ঠিকানা হয়ে উঠবে আপনার প্রিয় বারান্দাই।
বাগানের আভাস: কৃত্রিম ঘাস লাগিয়ে অনেকেই এখন বারান্দাটা বাগানের মতো সাজান। পুরোটা না করলেও একদিকটা এ ভাবে সাজাতে পারেন। পাশে নুড়ি পাথর ছড়িয়ে দিন। বসার জায়গায় কৃত্রিম কার্পেট পেতে দিন বারান্দায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy