মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়।
দোলের আনন্দে আতঙ্ক যোগ করেছে কি করোনা? এ প্রশ্ন গত বছর থেকেই ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু করোনাই কি শুধু বিচ্ছিন্ন করেছে মানুষকে? নাকি অন্যের থেকে দূরে সরতে বাধ্য হওয়ার আরও কারণ রয়েছে? যা করোনার সময়ে আরও প্রকট হয়ে বেরিয়ে এসেছে?
রঙের উৎসবের হুল্লোড় ঘিরে অনেক প্রশ্নই উঠে থাকে। এ দিনটা যেমন মন খুলে মেলামেশার, তেমনই আবার সেই মিলমিশ কেন্দ্র করে তৈরি হয় কিছু আতঙ্ক। কে কী ভাবে রং দেবেন। তাতে সুরক্ষার প্রশ্ন থেকে যাবে। নানা কথাই ওঠে। করোনার আগেও উঠত। এ বার সুরক্ষা সংক্রান্ত সেই সব প্রশ্ন আরও জোরদার। কারণ সংক্রমণের ভয়। তাই বন্ধুদের থেকে দূরে থেকেছেন অনেকে। ঠিক যেমন থেকেছেন শিক্ষক-সমাজকর্মী মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জানালেন, এ বছর দোলের দিনটা বিশেষ ভাবে একা কেটেছে তাঁর। নিজেকে বিছিন্ন মনে হয়েছে। যখন মানুষ খেলব ‘হোলি রং দেব না, তাই কখনও হয়’ বলে, তখনও চিন্তা হয়। ‘‘রঙের মধ্যে দিয়ে যদি অন্য কিছু দেয় উপহার,’’ আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। রঙিন শুভেচ্ছা জানানোর সঙ্গে এমন কথা মনে করানো গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন নেটাগরিকেরা।
সুরক্ষা-বিধি মেনে দোল উদ্যাপন যেমন কঠিন। তেমন সংশয় কাটিয়ে আনন্দে মাতাও কম কঠিন নয়। যে দিনটা খোলা মনে সকলের সঙ্গে মেলামেশার জন্য রাখা রেয়েছে, সে উৎসব ঘিরে মনের মধ্যে বাড়তে থাকা সংশয়কেও সামনে আনল এই পোস্ট। ভয় শুধু করোনায় নয়। রঙেও নয়। রং দেওয়ার ভঙ্গিতেও নয়। ভয় পাওয়া দরকার বাড়তে থাকা দূরত্বকে। সংশয়কে।
উৎসবের দিনে এমন কথা ভাবাল নেটাগরিকদের। দোল খেলতে না চাওয়ার যেমন যথেষ্ট কারণ রয়েছে, না চাওয়াকে ভয় পাওয়ার কারণও কম নয়— মনে পড়ল অনেকের। করোনার ক্ষতি শুধু শারীরিক নয়, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। এ সময়ে আরও কত ক্ষতি হচ্ছে, দোলের শুভেচ্ছা বয়ে আনা এই পোস্টে আবারও সামনে এল সে প্রসঙ্গ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy