ওটিপি জালিয়াতি থেকে বাঁচবেন কী উপায়ে? ফাইল চিত্র।
ডিজিটাল যুগে বেশির ভাগ কাজই হচ্ছে অনলাইনে। সে ব্যাঙ্কে টাকাপয়সা লেনদেন হোক বা পোশাক-খাবারদাবার অর্ডার করা, আর্থিক লেনদেনের অন্যতম ক্ষেত্রই হয়ে উঠেছে ডিজিটাল মাধ্যম। আর তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অনলাইন প্রতারণার ঝুঁকিও। এরই মধ্যে যে প্রতারণা সবচেয়ে বেশি হচ্ছে, তা হল ‘ওটিপি বাইপাস স্ক্যাম’। মোবাইলে আসা ওটিপি থেকেই প্রতারণার ফাঁদ পাতা হচ্ছে। মুহূর্তের অসতর্কতায় যদি কেউ প্রতারকদের বিশ্বাস করে ওটিপি বলে দেন, তা হলেই সর্বনাশ। নিমেষে ফাঁকা হয়ে যাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। ওটিপি জালিয়াতির কারণে কলকাতা শহরেই গত কয়েক মাসে সর্বস্বান্ত হয়েছেন বহু মানুষ।
সরকারের সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের তরফ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোনও কথাই ফোনে বলা চলবে না। ফোনে কোনও লিঙ্কে ক্লিক বা কিছু ডাউনলোড করতে বললে এড়িয়ে যেতে হবে। অনলাইন ব্যাঙ্কিংয়ের সময়েও সতর্ক থাকতে হবে। কী কী নিয়ম মেনে চললে সুরক্ষিত থাকতে পারবেন, সে পরামর্শও দিয়েছেন সাইবার বিশেষজ্ঞেরা।
১) কোনও রকম টোল-ফ্রি নম্বরে ফোন করে ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ডের নম্বর অথবা ফোনে আসা ওটিপি শেয়ার করবেন না। যে নম্বর থেকে ফোন আসছে বা আপনি যে নম্বরে ফোন করছেন, সেটি আদৌ কোনও ব্যাঙ্ক বা সংস্থার কি না, তা যাচাই করে নিতে হবে। অনলাইন ব্যাঙ্কিংয়ের সময়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেই যেতে হবে।
২) ব্যাঙ্ক বা কোনও সংস্থার প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে ফোন এলে, সেখানে ভুলেও আধার, প্যান, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের নম্বর, ডেবিট কার্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার সময়, নিজের জন্মতারিখ, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর বা কোনও রকম পরিচয়পত্র দেবেন না।
৩) ইমেল, এসএমএস, হোয়াট্সঅ্যাপে অচেনা কোনও নম্বর থেকে আসা লিঙ্কে ক্লিক করবেন না। যদি কোনও মেসেজে বা ইমেলে ওটিপি আসে বা ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চাওয়া হয়, তা হলে অবশ্যই সতর্ক হোন। প্রয়োজন পড়লে ব্যাঙ্ক ও থানায় যোগাযোগ করুন।
৪) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে অবশ্যই টু স্টেপ অথেন্টিকেশন ব্যবহার করুন। এতে আপনার অ্যাপের সুরক্ষা আরও বাড়বে। নিজের ফোনের ডেটা বা ওয়াইফাই ব্যবহার করেই আর্থিক লেনদেনের কাজ করবেন। পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করলে বিপদে পড়তে পারেন।
৫) টেলিগ্রাম বা অন্য অ্যাপে বিনিয়োগ করে লাভবান হওয়ার নামে প্রতারণার ফাঁদ বাড়ছে। মূলত ক্রিপ্টোকারেন্সি (বেসরকারি ভার্চুয়াল মুদ্রা) এবং শেয়ার বাজারের নতুন নতুন আইপিও-তে বিনিয়োগের নামে ফাঁদ পাতা হচ্ছে। এমন চক্র থেকে সাবধান থাকুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy