ইদানীং রূপচর্চার জগতে ‘মিসেলার ওয়াটার’-এর চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত।
মুখের উপরের স্তরে জমে থাকা তেল, ধুলোময়লা পরিষ্কার করতে সাধারণত ফেসওয়াশই ব্যবহার করা হয়। মুখে মেকআপ করা থাকলে অবশ্য আলাদা কথা। তখন ভাল কোনও মেকআপ রিমুভার বা ক্লিনজ়ার দিয়ে মুখ মুছে নেন। অনেকে আবার ‘ডবল ক্লিনজ়িং মেথড’ মেনে ক্লিনজ়ার ব্যবহার করার পরে ফেসওয়াশ দিয়েও মুখ ধুয়ে ফেলেন।
তবে মেকআপ তোলার পর মুখ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায় অনেকের। ত্বকের বিভিন্ন অংশ থেকে ছাল উঠতেও দেখা যায়। এই সমস্ত ঝক্কি পোহাতে হয় না হাতের কাছে ‘মিসেলার ওয়াটার’ থাকলে। ইদানীং রূপচর্চার জগতে এই প্রসাধনীটির চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। রূপচর্চা শিল্পীরা বলছেন, শুধু মেকআপ তোলাই এর কাজ নয়, এই প্রসাধনীটি বহু রকমের গুণসম্পন্ন। আর সবচেয়ে বড় কথা হল, মিসেলার ওয়াটার সব ধরনের ত্বকেই ব্যবহার করা যায়।
কোন কোন উপাদানে তৈরি এই প্রসাধনীটি?
অন্যান্য ক্লিনজ়ার বা মেকআপ রিমুভারের চেয়ে মিসেলার ওয়াটার একেবারেই আলাদা। ত্বকের নানা ধরনের সমস্যার কথা মাথায় রেখে এই প্রসাধনীটিতে তেমন কোনও রাসায়নিকও ব্যবহার করা হয় না। পরিস্রুত জল, গ্লিসারিন, সামান্য পরিমাণে মাইল্ড, রাসায়নিক-মুক্ত সারফ্যাকট্যান্ট্স থাকে মিসেলার ওয়াটারে। অন্যান্য ক্লিনজ়ারের মতো এই প্রসাধনীটিতে অ্যালকোহল থাকে না। তাই স্পর্শকাতর বা শুষ্ক ত্বকেও এটি ব্যবহার করা যায়। তবে কারও ত্বকে যদি এগ্জ়িমা বা ঘা হয়ে থাকে, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মিসেলার ওয়াটার ব্যবহার করা যাবে না।
এ ছাড়া আর কী কী উপকারে লাগে?
১) ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে:
মিসেলার ওয়াটারে গ্লিসারিনের মতো উপাদান থাকায় তা সহজেই ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। শুধু তা-ই নয়, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ত্বকের ময়েশ্চার বেরিয়ার বা রক্ষাকবচ হিসাবেও কাজ করে এটি। আবার ত্বকের ক্ষত সারাতেও গ্লিসারিনের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
২) মুখে জমা তেল, ধুলোময়লা পরিষ্কার করে দেয়:
মুখে জমা তেল, ধুলোময়লার পরত তুলে ফেলতে সাহায্য করে এই প্রসাধনীটি। ফেসওয়াশ, ক্লিনজ়ার বা রিমুভারের তুলনায় ত্বকের অনেকটা গভীরে গিয়ে কাজ করে মিসেলার ওয়াটার। তবে এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ত্বকের নিজস্ব তেল বা সেবামের স্তর বজায় রাখা। সাধারণত ক্লিনজ়ার বা রিমুভার ব্যবহারে ত্বকের এই তেলতেলে ভাব অনেকটাই নষ্ট হয়। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। কিন্তু মিসেলার ওয়াটার ব্যবহার করলে এই ধরনের সমস্যা হয় না।
৩) সব ধরনের ত্বকের পক্ষে উপযুক্ত:
ত্বকের গুরুতর কোনও সমস্যা না থাকলে প্রায় সব ধরনের ত্বকেই এই প্রসাধনীটি ব্যবহার করা যায়। যে হেতু মিসেলার ওয়াটারে ফেনা হওয়ার মতো রাসায়নিক বা অ্যালকোহল নেই, তাই স্পর্শকাতর ত্বক পরিষ্কার করতেও এটি ব্যবহার করা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy