গ্রুপ চ্যাটে আসা ছবি আসল না কি প্রযুক্তি দিয়ে বানানো, বুঝবেন কী উপায়ে? প্রতীকী ছবি।
সমাজমাধ্যমে এখন নকল ছবি, অডিয়ো ও ভিডিয়োর রমরমা। কোনটি যে আসল আর কোনটি ভুয়ো, তা বোঝাই দুঃসাধ্য। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগে একের পর এক ‘ডিপফেক’ কাণ্ড ধরা পড়ছে। এটি এমনই এক প্রযুক্তি-কৌশল, যার দৌলতে বিশ্বের যে কোনও মানুষের ছবি বা ভিডিয়োয় মুখচ্ছবি পাল্টে দেওয়া হচ্ছে। অত্যন্ত সূক্ষ্ম এবং প্রায় নিখুঁত ভাবে এক জনের শরীরে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে অন্যের ধড় এবং মুণ্ড। তাই চ্যাটে যে সব ছবি প্রায় প্রতি দিনই আসছে, সেগুলি আসল না প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি করা, তা চেনার নতুন কৌশল আনছে হোয়াট্সঅ্যাপ।
হোয়াট্সঅ্যাপে পরীক্ষামূলক ভাবে চালু হতে চলেছে ‘সার্চ অন ওয়েব’ ফিচার। এই ফিচারটি ব্যবহার করেই বোঝা যাবে, আপনার চ্যাটে যে ছবিটি এসেছে সেটি আসল না নকল।
কী ভাবে বুঝবেন?
ধরা যাক, আপনাকে চ্যাটে কেউ কোনও ছবি পাঠিয়েছে, অথবা গ্রুপ চ্যাটে একাধিক ছবি এসেছে, যেগুলি আসল ছবি না প্রযুক্তির কারিগরিতে বানানো তা বুঝতে পারছেন না। তখন চ্যাটটি খুলে ডান দিকে উপরে থাকা ‘থ্রি ডট’ মেনুতে যেতে হবে। সেখানে ক্লিক করলে ‘সার্চ অন ওয়েব’ অপশনটি দেখতে পাবেন। সেখানেই সার্চ করে দেখে দিতে পারবেন ছবিটি আসল না ভুয়ো। ছবিটি কোথা থেকে এসেছে, ডিপফেক দিয়ে বানানো ছবি কি না, তা-ও বোঝা যাবে। ছবির উৎস বুঝতে পারলেই আপনি সচেতন হয়ে যাবেন।
প্রযুক্তি এখন এতটাই উন্নত যে কোনও ব্যক্তির মুখের অভিব্যক্তি খুব খুঁটিয়ে পড়ে ফেলার কৌশলও আয়ত্ত হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করলে সেই ব্যক্তির গলার আওয়াজও নকল করা সম্ভব। তার পর সেই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই, একজনের মুখ বা শরীরের উপর অন্য জনের মুখ বসিয়ে দেওয়া খুব সহজ। অথবা পারিপার্শ্বিক যে কোনও বিষয়, প্রাকৃতিক দৃশ্যও বদলে ফেলা সম্ভব। এমন ধরনের নানা ছবি এখন সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাইরাল হচ্ছে। হোয়াট্সঅ্যাপের গ্রুপেও এইসব ছবি ছড়িয়ে পড়ছে। তাই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই এমন ফিচার আনতে চলেছে হোয়াট্সঅ্যাপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy