অনিদ্রা সরাতে বদল আনুন জীবনশৈলীতে। ছবি: শাটারস্টক।
একটানা ভাল ঘুম না হওয়া, সারা রাত বিছানায় এ পাশ-ও পাশ করে কাটিয়ে দেওয়া, কোনও কোনও ক্ষেত্রে ঘুমের ভাব থাকলেও ঘুম না আসা— এ সব সমস্যায় কমবেশি অনেকেই ভোগেন। অনিদ্রাজনিত অসুখের হাত ধরেই ওবেসিটি, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুখ ইত্যাদি নানা জটিলতা আসে।
নিয়মিত ওষুধ খেয়ে ঘুমানোর অভ্যাসও অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু ঘুমের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম নেই। দীর্ঘ দিন ধরে ঘুমের ওষুধ খেতে খেতে এক সময় এই ঘুমের ওষুধের প্রতি নির্ভরতা এতটাই বেড়ে যায় যে তার সাহায্য ছাড়া ঘুমানোর কথা ভাবতেও পারেন না অনেকেই।
আধুনিক কর্মব্যস্ত জীবন, উদ্বেগ, নানা ব্যস্ততার জেরে রাতের ঘুমের সময়সীমা কমে পাঁচ-ছ’ঘণ্টায় এসে ঠেকেছে অনেকেরই। তার মধ্যে যদি অনিদ্রা হানা দেয়, তবে সারা দিনের কাজে যেমন তার প্রভাব পড়ে, তেমনই ক্ষতি হয় শরীরেরও। কিন্তু বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চললে এবং জীবনযাত্রায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনলেই রাতের ঘুমের জন্য আর হাপিত্যেশ অপেক্ষার প্রয়োজন পড়বে না। কী কী নিয়ম মেনে চললে রাতের ঘুম অনেকটা সহজলভ্য হয়ে উঠবে জানেন?
আরও পড়ুন: ব্রেন স্ট্রোক রুখতে চান? বিশেষ যত্ন নিন দাঁতের
ঘুমানোর দু’ ঘণ্টা আগে গরম জলে স্নান করার অভ্যাস করতেই পারেন। গরম জল শরীরের কোষগুলির ক্লান্তি সরায় ও স্নায়ুগুলিকে শান্ত করে। দেহের তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রিত হয় এই স্নানের মাধ্যমে। ফলে ঘুম আসবে সহজেই। মন ও শরীরকে শান্ত রাখার অন্যতম উপায় মাসাজ। উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা সরিয়ে ঘুম আনতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এটি। তাই ঘুমের ঘণ্টা খানেক আগে মাসাজ নিলে তা ঘুমের জন্য উপযোগী হতে পারে। গরম দুধে মধু মিশিয়ে সেই পানীয় খেলেও ঘুমের সমস্যা মেটে। দুধে থাকা ট্রাইটোফ্যান স্নায়ু ও কোষকে শিথিল করে ঘুম আসতে সাহায্য করে। এর সঙ্গে মধু যোগ হওয়ায় ঘুমের ঘনত্বও বাড়ে।
আরও পড়ুন: ওষুধ ছাড়াই টনসিলের ব্যথাকে জব্দ করুন এ সব উপায়ে
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ঘুমের ঘণ্টা চারেক আগে কফি, সিগারেট ও মদ্যপানের স্বভাব আজই ত্যাগ করুন। এ সবে শরীরে জলের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্নায়ু উদ্দীপ্ত হয় ও ঘুমের আমেজ দ্রুত নষ্ট হয়। ম্যাগনেশিয়াম উদ্বেগ কমাতে বিশেষ কার্যকর। তাই ডায়েটে ম্যাগনশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রাখার পাশাপাশি, স্নানের জলেও এক কাপ ম্যাগনেশিয়াম পাউডার যোগ করতে পারেন। এতে ক্লান্তি সরে ও ঘুম আসে দ্রুত। ঘুমানোর আগে আলো নিভিয়ে সুগন্ধি স্প্রে করে ঘরকে ঘুমের উপযুক্ত করে তুলুন। কেবল তা-ই নয়, নিশ্ছিদ্র ঘুম আনতে ঘুমের আগে যথেচ্ছ মোবাইল ব্যবহার ও টিভি দেখার অভ্যাসেও রাশ টানুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy