বাথরুম হোক ঝকঝকে।
খুব স্বাভাবিক এটাই, যেখানেই যাই না কেন আমরা, সেটা বেড়াতে কিংবা কারও বাড়িতে— আমাদের মনের মধ্যে একটা খোঁজ সব সময়ই চলতে থাকে,বাথরুমটা ভাল তো? বাথরুমের অবস্থা নিয়ে আপস করতে কিন্তু কম মানুষই চান। আমি এমন অনেক বাড়ি দেখেছি যা খুবই সাধারণ কিন্তু বাথরুমের সজ্জায় প্রশংসার দাবি রাখে।
এখন চারপাশে প্রচুর হোম স্টে তৈরি হয়েছে। মূলত, পাহাড়ের দিকে তো হোম স্টে-র রমরমা। অত্যন্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলেও দারুণ সুন্দর হোম স্টে দেখেছি। একটা উদাহরণ দিই। জায়গাটার নাম লেপচা খা। বক্সা ফোর্ট থেকে আরও ঘণ্টা দেড়েকের চরাই। সমতল থেকে প্রায় তিন-চার ঘণ্টার হাঁটাপথ। হাঁটা বাদ দিয়ে আর অন্য কোনও উপায় নেই সেখানে পৌঁছনোর। যেখানে ভাল করে জল পৌঁছয়নি, ফোনের টাওয়ার একেবারেই দুর্বল, বিদ্যুৎ নেই, তেমন জায়গাতেও সাধারণ মানের হোম স্টে-তে অত্যন্ত দামি কোম্পানির বাথরুম ফিটিংস দেখেছি।
যাই হোক, বাথরুমের দুটো চরিত্র আছে— দুটো জোন আছে বলা যেতে পারে। সেটা হল ওয়েট জোন এবং ড্রাই জোন। আর সত্যি কথা বলতে, আমরা ঠিকমতো এই দুটো জোনের পার্থক্য বুঝি না। তাই ভিজে, স্যাঁতসেঁতে বাথরুম ব্যবহার করে চলি দিনের পর দিন। এই উৎসবের মরসুমে আসুন সেটা যদি একটু পাল্টে দেওয়া যায়।
আরও পড়ুন: মার্বেলের মেঝে? এ ভাবে যত্ন নিলে নতুনের মতো দেখাবে
আসলে বাথরুমে ওয়েট জোন বা ভিজে অংশটার জন্যে দায়ী জলের ব্যবহার। কখনও কাপড় কাচা, কখনও স্নান— এ সবের সময় প্রায় পুরো বাথরুমটাই ভিজে যায়। তাই যদি স্নানের জায়গাটা দেওয়ালের একেবারে শেষের দিকে হয়, তা হলে চেষ্টা করবেন ভারী প্লাস্টিকের পর্দা দিয়ে শাওয়ারের জায়গাটাকে আলাদা ভাবে ঘিরে দিতে। যাতে স্নানের সময় জল বাইরে আসতে না পারে। শাওয়ার কিউবিক্ল, কিংবা বাথটব অথবা জাকুজি এ দিক থেকে সেরা বিকল্প। ইচ্ছে করলে এবং বাথরুম যদি বেশ বড় হয় তবেই, বাথরুমে একটা শাওয়ার কিউবিক্ল লাগিয়ে নিতে পারেন এই সময়। একটু দাম বেশি। তবে মন ভাল করা স্নানের জায়গা পাবেন।
বাথরুমে চেষ্টা করবেন সিলিং ফ্যান কিংবা ওয়াল ফ্যান লাগাতে। ওয়াল ফ্যান লাগালে উচ্চতাটা একটু দেখে নেবেন, যাতে কোনও ভাবেই জল না লাগতে পারে। পাখা লাগালে খুব গরমে যেমন নিজেদেরও আরাম লাগবে, তেমন ভাবেই ভিজে বাথরুমের মেঝেও শুকিয়ে যাবে তাড়াতাড়ি। এই উৎসবের আগে অন্ততপক্ষে সেটুকু করে নেওয়াই যায়।
সামান্য বড় মাপের বাথরুম হলে এবং শাওয়ারের জায়গাটা পর্দা দিয়ে আটকানো থাকলে, ছোট্ট একটা ক্যাবিনেট বানিয়ে নিতে পারেন। ক্যাবিনেটের উপরে বেসিন টপ রাখতে পারেন কিংবা আলাদা করে দেওয়ালেও সেট করে নেওয়া যেতে পারে। ক্যাবিনেটে যেন কোনও ভাবেই জল না লাগে এবং যাতায়াতের পথে বাধাপ্রাপ্ত না হয়।
আরও পড়ুন: ঘর সাজাচ্ছেন? পর্দা কেনার আগে দেখে নিন কিছু জরুরি নিয়ম
সবশেষে আরও একবার বলি, বাথরুমের আসল সমস্যাটা হচ্ছে ড্রাই আর ওয়েট জোন আলাদা না হওয়া। শাওয়ার এলাকাটা শেষ প্রান্তে হলে সুবিধা। এমনি ফ্লোরের থেকে সামান্য নীচু হলে জল বাকি মেঝেতে ছড়িয়ে যাবে না। এ ক্ষেত্রে অ্যাক্রেলিক কার্টেন ব্যবহার করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy