Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
immunity

এই বসন্তে অসুখবিসুখ ঠেকাতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পাতে রাখুন এ সব

শরীর শক্তপোক্ত না হলে পুষ্টি না পেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর তা প্রভাব ফেলে। সুতরাং শরীরচর্চার পাশাপাশি খাবার পাতেও রাখুন দরকারি কিছু খাবার, যা আপনাকে রোগভোগের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করবে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলাও অসুখ আটকানোর অন্যতম উপায়। ছবি: শাটারস্টক।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলাও অসুখ আটকানোর অন্যতম উপায়। ছবি: শাটারস্টক।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৯ ১০:৪১
Share: Save:

হয় বসন্তেও মেঘলা আকাশে গুমোট গরম, নয়তো হঠাৎ করেই এক আধ দিন শীতের ঠান্ডা আমেজ। বসন্ত জুড়ে আবহাওয়ার এমন খামখেয়ালিপনায় সবচেয়ে বেশি খেসারত দিচ্ছে শরীর। হয়, সর্দি-কাশিতে জেরবার, নয়তো ফ্লুয়ের ভাইরাসে আক্রান্ত। এর মধ্যেই আবার সুযোগ বুঝে হানা দিচ্ছে বসন্ত রোগের প্রকোপ। সুতরাং, নিজের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলা ও অসুখ এড়ানো ছাড়া অন্য কোনও বিকল্প হাতে নেই।

ফ্লুয়ের ঘন ঘন চরিত্রবদলের দায়ে কড়া মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিকও কাজে আসে না অনেক সময়। বিশেষ করে বাড়ির শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে ওষুধে কাঙ্ক্ষিত ফল পেতে অনেক সময়ই দেরি হচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে, অসুখ সারানোর চেয়ে এখন সাবধানে থাকা ও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।

দীর্ঘ দিনের কোনও অসুস্থতা, অনিদ্রা, মানসিক চাপ, অতিরিক্ত মদ্যপান ও ধূমপান সবকিছুই রোগ প্রতিরোধ কমিয়ে দেওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। শরীর শক্তপোক্ত না হলে পুষ্টি না পেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর তা প্রভাব ফেলে। সুতরাং শরীরচর্চার পাশাপাশি খাবার পাতেও রাখুন দরকারি কিছু খাবার, যা আপনাকে রোগভোগের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করবে।

আরও পড়ুন: অনিয়মে ওজন বেড়েছে? মেদ ঝরান এ ভাবে

ফ্লু ও শ্লেষ্মা ঠেকাতে প্রতি দিন আপেল সাইডার ও মধুতে আস্থা রাখুন।

আপেল সাইডারও মধু: সকালে খালি পেটে আপেল সাইডার ভিনিগার ও মধু মিশিয়ে সেটি খান। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফ্লুয়ের ভাইরাস ঠেকানোর ক্ষমতাও আছে।

তেতো খাবার: বসন্তের ভাইরাস আটকাতে প্রতি দিন খাবার পাতে রাখুন হয় নিম পাতা, নয়তো সজনে ফুল। এ সবের অ্যান্টিভাইরাল উপাদান শরীরকে মজবুত রাখে ও এই সময় বাতাসে উড়ে বেড়ানো রোগজীবাণুর সঙ্গ লড়তে সাহায্য করে।

পর্যাপ্ত প্রোটিন: খাবার পাতে উদ্ভিজ্জ বা প্রাণীজ, যে কোনও রকমের প্রোটিন রাখুন রোজ। মাছ, মাংস, সয়াবিন, মুসুর ডাল, ডিম এ সব থেকে পাওয়া পুষ্টিগুণ শরীরকে ভিতর থেকে মজবুত করবে, শক্তিরও জোগান দেবে।

কাঁচা হলুদ: হয় টুকরো করে কেটে চিবিয়ে খান, নয়তো বেটে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খান। কাঁচা হলুদের অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল উপাদান শরীরকে অনেক রোগের হাত থেকে বাঁচায়। বিশেষ করে শ্লেষ্মা ও বসন্তে চর্মরোগ থেকে বাঁচতে কাঁচা হলুদের ভূমিকা অনেক।

আরও পড়ুন: শরীর-সাস্থ্য নিয়ে এ সব তথ্য আগে জানতেন?

রান্না করা সব্জি না কি তার রস, কোনটা খেলে বিপদ বাড়ছে জানেন?

ডায়েটে সবুজ শাকসব্জি ও ফলের যেন কার্পণ্য না থাকে।

সবুজ শাকসব্জি ও ফল: এই সময় ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে ও শরীরকে স্বাভাবিক শক্তির জোগান দিতে, ভিটামিন সি-খনিজের উপাদান যাতে ঘাটতি না পড়ে সে সবের দিকে নজর দিতে প্রতি দিন অন্তত ১০০ গ্রাম ওজনের যে কোনও ফল খান। সঙ্গে রাখুন পর্যাপ্ত সবুজ শাকসব্জি।

জল: এই সময় জ্বর, সর্দি-কাশির সঙ্গে ডায়রিয়া, খাদ্যে বিষক্রিয়া ইত্যাদির প্রভাব বাড়ে। জল থেকেই বেশির ভাগ ফুড পয়জন ও হেপাটাইটিসের মতো অসুখ ছড়ায়। তাই জলের বিষয়ে সচেতন হন। পারলে ফোটানো জল খান, একান্ত তা সম্ভব না হলে ভাল দোকান থেকে নামী ব্র্যান্ডের সিল করা জলের বোতল কিনুন। খাওয়ার আগে সেই জলেও প্রয়োজনীয় ক্লোরিন বা জীবাণুনাশক উপাদান মিশিয়ে নিতে পারেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE