মুখের দাগ মুছবে কিসে? ছবি: সংগৃহীত।
ছোটবেলায় মুখে ব্রণর আধিক্য ছিল। এখন তার দাপট কমলেও দাগ রয়ে গিয়েছে। একটা বয়সের পর ত্বক জেল্লা হারায়। মুখে কালচে ছোপ দেখা যায়। এ সবই বয়সের দোষ। ত্বকে অতিরিক্ত রোদ পড়লেও এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। তবে ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, মুখে অবাঞ্ছিত দাগ, ছোপ পড়ার জন্য যেমন একাধিক বাহ্যিক কারণ রয়েছে, তেমনই শরীরের অভ্যন্তরীণ বেশ কিছু কারণও এই সমস্যার জন্য দায়ী।
১) কোভিড
কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর মুখে এই ধরনের দাগ দেখা লক্ষ করেছেন অনেকেই। চিকিৎসকেরা বলছেন, এটি একেবারেই কোভিডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার লক্ষণ। প্রথমে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় লালচে দাগের আকারে এটি হয়। তার পর ক্রমে তা কালচে রং ধারণ করে।
২) রাসায়নিক প্রসাধনী
ত্বকের বয়স যাতে বোঝা না যায়, তাই ইদানীং রাসায়নিক ট্রিটমেন্ট করানোর প্রবণতা বেড়েছে অনেকের মধ্যে। এই ধরনের চিকিৎসা সাময়িক ভাবে কাজ করলেও ত্বকে প্রদাহের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। ফলে কালচে ছোপ পড়তেই পারে।
৩) গর্ভাবস্থা
অন্তঃসত্ত্বা-পর্ব চলাকালীন শরীর বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায়। সেই সময়েও অনেক মহিলার মুখে দাগ, ছোপ পড়ে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হয় 'মেলাজ়মা'। সন্তান জন্মের পর এই ধরনের দাগ ধীরে ধীরে মিলিয়েও যায়।
৪) হরমোনের সমস্যা
থাইরয়েড, পিসিওএস-এর মতো হরমোনজনিত সমস্যা থেকেও ত্বকে দাগছোপ পড়ে। এই ধরনের সমস্যা সম্ভবত হরমোন গ্ল্যান্ডের অতিসক্রিয়তা বা নিষ্ক্রিয়তার কারণে হয়ে থাকে। অনেকের ক্ষেত্রেই থাইরয়েড হরমোনের নিষ্ক্রিয়তার কারণে এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।
৫) সূর্যের আলো
সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি সরাসরি ত্বকের উপর এসে পড়লেও অবাঞ্ছিত দাগছোপ হতে পারে। অনেক সময়েই যাকে সানবার্ন বলে ভুল করেন মানুষ।
ত্বকের কালচে দাগ, ছোপের ঘরোয়া সমাধান কিন্তু রয়েছে, জানেন কি?
কাঁচা হলুদ এবং চন্দন একসঙ্গে বেটে মুখে মাখলে এই ধরনের সমস্যা দূর করা যায় সহজেই। এ ছাড়া সপ্তাহে দু-তিন দিন মুলতানি মাটির সঙ্গে আলুর রস, হলুদ এবং গোলাপ জল মিশিয়ে তৈরি প্যাক মাখলেও মুখের দাগছোপ দূর হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy