ঝালে-ঝোলে-অম্বলে না-ই বা খেলেন। রাতে পাত পেড়ে ভূরিভোজও বন্ধ করে দিয়েছেন। পোলাও-কালিয়া দেখলে লোভও সামলে নিচ্ছেন আজকাল। হালকা করে ভাত-ডাল-তরকারি, বা নিদেনপক্ষে কোনও দিন মাংস-রুটি খাচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু তাতে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমছে না। রাতে খেয়ে শুতে গেলেই গলা-বুকে কেমন জ্বালা ভাব, সকালে উঠে পেটে ব্যথা। দেখলেন রাতের খাওয়া হজমই হয়নি। এ দিকে তেল, ঝাল, মশলা দেওয়া খাবার কমই খাচ্ছেন। কেন হচ্ছে এমন?
আপনি হয়তো ভাবলেন হজমের ওষুধ খেয়ে সমস্যার সমাধান করে ফেলবেন। তবে তাতেও লাভ হবে না। রোজ রাতে হজমের ওষুধ খাওয়ার অভ্যাসও ঠিক নয়। আর জোয়ানের জল খেয়েও যে অম্বল একেবারে কমে যাবে, তা-ও নয়। তা হলে উপায়? বদলাতে হবে কিছু অভ্যাস।
রাতে খাওয়ার পরে কী কী নিয়ম মানলে অম্বল হবে না?
প্রথমত, খেয়ে ওঠার আধ ঘণ্টা পরে এক গ্লাস জল খেতে হবে। খাবার খাওয়ার সময়ে জল খাবেন না কিন্তু। অনেকেরই খেতে বসে পিপাসা পায়। সে ক্ষেত্রে খেতে বসার আধ ঘণ্টা আগে জল খেয়ে নেবেন।
আরও পড়ুন:
দ্বিতীয়ত, রাতে খেয়ে উঠে অন্তত ১৫-২০ মিনিটের মতো হাঁটতে হবে। ছাদে, বারান্দায় বা ঘরের ভিতরেও হাঁটতে পারেন। এক জায়গায় বসে না থাকলেই হল। এতে হজম যেমন ভাল হবে, তেমনই রক্তে শর্করাও জমতে পারবে না।
তৃতীয়ত, খেয়ে উঠেই ঘুমোতে যাবেন না। ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিতে হবে। কেউ যদি ১১টায় ঘুমোতে যান, তাঁকে ৮টায় খেয়ে নিতে হবে। সেই জন্য দুপুরের খাওয়া সারতে হবে বেলা ১২টার মধ্যে। ওজন কমানোর প্রাথমিক শর্ত কিন্তু বেশি রাত করে খাবার না খাওয়া।
আরও কিছু নিয়ম মানলে ভাল। রাতের খাবার হতে হবে সবচেয়ে হালকা। বেশি ভারী খাবার রাতে এড়িয়ে যাওয়া ভাল। সূর্যাস্তের আগে হজমশক্তি ভাল থাকে। সে কারণেই ভারী খাবার খেয়ে নিতে বলা হয় সন্ধে নামার আগেই। খাবারের সঙ্গে জল না খেয়ে যদি ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত অল্প অল্প করে জল খেতে থাকেন, তা হলে হজম ভাল হবে। ঘুমও ভাল হবে।