পুজোয় প্যান্ডেলে ঘোরা হোক বা না হোক চুল আর ত্বকের জেল্লা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা নেই এমন বাঙালি বিরল। এ বারে কোভিড আবহে সকলেরই হাতে কিছুটা সময় বেঁচেছে। তবে বাড়তি সময় চুল ত্বকের বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়ে ওঠেনি। পুজো ক্রমশ এগিয়ে আসছে আর অযত্নে চুল ঝরার কোনও বিরাম নেই।
হেনা, নানা প্যাক, শ্যাম্পু, গরম তেল, সেরাম কোনও কিছুতেই চুল ঝরার হাত থেকে রেহাই মিলছে না। আসলে চুল পড়ে যাওয়ার পিছনে অনেক সময় কিছু থাইরয়েড হরমোনের তারতম্য, শরীরে আয়রনের ঘাটতি-সহ নানা শারীরিক কারণ থাকতে পারে।
বেশি চুল পড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, বললেন ত্বক বিশেষজ্ঞ শেখর হালদার।
আরও পড়ুন: গাঁদা কিংবা গোলাপ, নানা ফুলের ব্যবহারেই জেল্লাদার ত্বক
এক জন মানুষের দিনে ১০০টা পর্যন্ত চুল ঝরে যেতে পারে।
মাথা থাকলেই যেমন মাথা ব্যথা করে তেমনই চুল থাকলেই চুল ঝরে যায়। এ নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা করা ঠিক নয়। চিন্তায় চুল ঝরে যাওয়া আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বলে ত্বক বিশেষজ্ঞদের অভিমত। মানসিক দুশ্চিন্তা হলে অনেকে নিজেই নিজের চুল ধরে টানাটানি করেন। নিজের অজান্তেই মাথার মাঝখানের চুল টেনে ছিড়ে ফেলেন। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলে ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া। এই সমস্যা থাকলে মাথার মাঝের অংশ ফাঁকা হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি খুব বেশি। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে কাউন্সেলিং করাতে হতে পারে। স্বাভাবিক নিয়মে অল্পবিস্তর চুল রোজই ঝরে যায়। আয়ু শেষ হয়ে যায় বলে নিয়মিত কিছু চুল পড়ে যাওয়া খুব একটা অস্বাভাবিক নয়, তাই তাই নিয়ে মাথা না ঘামানোই ভাল।
প্রত্যেক কোষের মত চুলেরও নির্দিষ্ট আয়ু আছে। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিদিনই কিছু পুরনো চুল ঝরে যায়, একই সঙ্গে নতুন চুল গজায়। কিন্তু অনেক সময় চুল আঁচড়ালেই রাশি রাশি চুল চিরুনিতে উঠে আসে। শ্যাম্পু করলে স্নানঘরের মেঝে চুলে ভরে যায়। অবশ্য এই সমস্যা কারও একার নয়। পৃথিবীর প্রতি চার জনের মধ্যে এক জন চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন। বিজ্ঞাপন দেখে বিভিন্ন প্রসাধন ব্যবহার করলে সমস্যা আরও বাড়ে বই কমে না। অনেক সময় বড় ধরনের অসুখের পর প্রচুর চুল পড়ে যায়। মাথা ফাঁকা হয়ে যায় তখনই যখন যে অনুপাতে চুল ঝরে তার থেকে কম চুল গজালে। মানে ধরুন ব্যাঙ্কে টাকা জমা করছেন না শুধু তুলছেন, তাহলে যেমন অ্যাকাউন্ট হালকা হয়ে যায় তেমনই আর কি, বললেন শেখর হালদার। এক জন মানুষের দিনে ১০০টা পর্যন্ত চুল ঝরে যেতে পারে। তবে নাগাড়ে চুল ঝরতে থাকলে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ডিম, মাছ, দুধের সঙ্গে সঙ্গে সময়ের ফল ও সব্জি খেতে হবে।
ত্বক বিশেষজ্ঞ রথীন্দ্রনাথ দত্ত জানান, চুল গজানো থেকে ঝরে যাওয়ার মধ্যে তিনটি পর্যায়ে আছে। অ্যানাজেন, ক্যাটাজেন ও টেলোজেন। চুল গজানোর পর বেড়ে ওঠে অ্যানাজেন ফেজে। ক্যাটাজেন অবস্থায় চুল আর বাড়ে না। টেলোজেন দশায় চুল ঝরে যায়। চুল ঝরে মাথা ফাঁকা হয়ে যাওয়ার এক অন্যতম কারণ খুসকি।
সোরিয়াসিস নামক ত্বকের অসুখে খুসকির মতই মাথার চামড়া উঠে যায়। এ ক্ষেত্রে ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শে ওষুধ দিয়ে রোগ না সারালে সমস্যা বাড়তেই থাকে। অনেক চুল ঝরে যেতে শুরু করলে কয়েকটা পরীক্ষা করাতে হয়। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা, থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট করানো দরকার।
আরও পড়ুন: আদা, ডাল বাটা, কফির গুঁড়ো, রান্নাঘরেই পুজোর পার্লার
অ্যানিমিয়া থাকলে চুল পড়া বেড়ে যায়। আবার থাইরয়েড হরমোনের কম বেশি নিঃসরণেও চুল পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। কোনও কারণ ছাড়া চুল পড়ে গেলে ‘কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট’ করানো দরকার। কোনও শারীরিক সমস্যা চুল পড়ে যাওয়ার কারণ হলে তা জেনে সেই মত চিকিৎসা করা হয়। অনেক সময় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস ও ভিটামিনের অভাবেও চুল পড়ে যায়। তাই ডিম, মাছ, দুধের সঙ্গে সঙ্গে সময়ের ফল ও সব্জি খেতে হবে।
নিয়মিত শ্যম্পুর পাশাপাশি তেল দিয়ে চুলের গোড়া তেল দিতে হয়। ম্যাসাজের ফলে স্ক্যাল্পে রক্ত চলাচল বেড়ে গিয়ে চুলের স্বাস্থ্য ভাল হয়। আবার সেবোরিক ডার্মাটাইটিস, অ্যালার্জি ইত্যাদির কারণে খুব মাথা চুলকায়, ফলে চুল পড়ে যায়।
চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবহারে সমস্যার সমাধান হয়। মেয়েদের অন্য কয়েকটি কারণে চুল পড়ে যায়। মা হওয়ার পরে ও মেনোপজ হলে হরমোনের তারতম্যের চুল ঝরে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। অতিরিক্ত ঋতুস্রাব ও পলি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy