প্রেশার কুকারে রান্না করা কি ভাল? ছবি: সংগৃহীত
সময় এবং জ্বালানি বাঁচাতে অনেকেই প্রেশার কুকার ব্যবহার করেন। চটজলদি রান্না হয়ে গেলেও, এই পাত্রে বানানো খাবার কি শরীরের জন্য ভাল? এই খাবারগুলি কি অন্য পাত্রে রান্না করা খাবারের সমপরিমাণ পুষ্টিগুণ দেয়? কী বলছে গবেষণা?
প্রেশার কুকারের রান্না অনেক তাড়াতাড়ি হয়। বিশেষ করে সিদ্ধ করার কাজ অনেক কম সময়ে হয়ে যায়। প্রেশার কুকারের ভিতরে জমা বাষ্পের চাপে খাবার তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার কারণে কি নষ্ট হতে পারে খাবারের পুষ্টিগুণ?
হালে কয়েকটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, কিছু আনাজের অ্যামাইনো অ্যাসিড নষ্ট হয়ে যায় প্রেশার কুকারে রান্নার ফলে। তা হলে কি এই পাত্রে রান্না করা ক্ষতিকারক? বিষয়টি ঠিক উল্টো। এমনই বলছে বেশির ভাগ গবেষণা। কী কী হয় প্রেশার কুকারে রান্নার ফলে? রইল তালিকা।
• প্রেশার কুকারে রান্না করলে খাবারে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে। আরও ভাল ভাবে কাজ করতে পারে সেগুলি। শরীর থেকে দূষিত পদার্থ আরও বেশি করে বার করে দেয় প্রেশার কুকারে রান্না করা খাবার।
• মাংস রান্নার ক্ষেত্রে প্রেশার কুকার বেশি কাজের। কারণ এতে মাংস বেশি ভাল ভাবে সিদ্ধ হয়। ফলে সেটি হজম করা সুবিধাজনক। মাংসে থাকা পুষ্টিগুণ আরও বেশি মাত্রায় শরীর গ্রহণ করতে পারে, সেটি প্রেশার কুকারে রান্না করা হলে।
• যে সব আনাজে ভিটামিন সি রয়েছে, দেখা গিয়েছে সেগুলি প্রেশার কুকারে রান্না করাই সবচেয়ে ভাল। কারণ সে ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ ভিটামিন সি-ই সংরক্ষিত থেকে যায়। ঢাকা খোলা পাত্রে সিদ্ধ করলে বা অন্য ভাবে রান্না করলে সেখানে ৭৮ থেকে ৬৬ শতাংশ ভিটামিন সি বেঁচে থাকে সেগুলিতে।
• খাবারে এমন কিছু উপাদান থাকে, যেগুলি পুষ্টিগুণ আহরণের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। পুষ্টিবিজ্ঞানের ভাষায় এগুলিকে অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্টস বলা হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রেশার কুকারে রান্না করা খাবারে এই সব অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্টের পরিমাণ কমে যায়।
সব মিলিয়ে প্রেশার কুকারে রান্না করা খাবার শরীরের জন্য ভাল। পুষ্টিগুণ তো নষ্ট হয়ই না, উল্টে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তার মাত্রা বেড়ে যায়। তা ছাড়া, জ্বালানি এবং সময় তো বাঁচেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy