সকালে কাজে বেরোনোর আগে বেশি কিছু খেতে ইচ্ছে করে না। তাই দুধ, কিছু শুকনো ফল আর কলা দিয়ে স্মুদি বানিয়ে খেয়ে নেন। চট করে বানিয়ে ফেলা যায়, পেট ভরে, পাশাপাশি শরীরে পুষ্টির জোগানও অব্যাহত থাকে। তা ছাড়া বোতলে সেই পানীয় ভরে তা খেতে খেতে বেরিয়েও পড়া যায়। ওট্স কিংবা কর্নফ্লেক্সের সঙ্গে দুধ, কলার ঘ্যাঁট খাওয়ার চাইতে এই বিকল্পটি শিশুদেরও মনে ধরে। তবে অনেকের ধারণা, দুধ-কলা একসঙ্গে খেলে পেটের গোলমাল হতে পারে। এই ভাবনা আদৌ যুক্তিযুক্ত?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, দুধ এবং কলা পুষ্টিকর দু’টি খাবার। কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম। কলা খেলে অনেক ক্ষণ পেট ভরা থাকে। অন্য দিকে, দুধে প্রোটিন, ভিটামিন, ক্যালশিয়াম রয়েছে ভরপুর মাত্রায়। কিন্তু দুধ আর কলা একসঙ্গে খেলে তা পাচনপ্রক্রিয়ায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। একসঙ্গে খেলে দু’টি খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
এ ছাড়া বিপাকহার সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা দিতে পারে দুধ এবং কলা একসঙ্গে খেলে। দুধে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। তাই দুধ হজম করতে বেশ সময় লাগে। অন্য দিকে, কলার গ্লাইসেমিক ইনডেস্ক অনেকটাই বেশি। তাই কলা পরিপাক করতেও বিস্তর সময় লাগা স্বাভাবিক। ফ্যাট এবং শর্করা পরিপাক করতে গিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই বিপাকহারের গতি শ্লথ হয়ে যেতে পারে।
যাঁদের ডায়াবিটিস রয়েছে, তাঁদের জন্য এই খাবারের জুটি অনেকটা বিষের মতোই কাজ করে। কারণ, কলায় রয়েছে গ্লুকোজ় এবং ফ্রুক্টোজ় আর দুধে রয়েছে ল্যাক্টোজ়। এগুলি আসলে শর্করারই বিভিন্ন প্রকার। তাই যাঁদের আগে থেকেই ডায়াবিটিস রয়েছে, তাঁরা বিপদে পড়তে পারেন। শিশুদের টাইপ ২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যেতে পারে।