জয় দিয়ে আইপিএল শুরু করল পঞ্জাব কিংস। অহমদাবাদের ২২ গজে শুভমন গিলের গুজরাত টাইটান্সকে হারালেন শ্রেয়স আয়ারেরা। প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ২৪৩ রান করে পঞ্জাব। জবাবে গুজরাতের ইনিংস শেষ হয় ৫ উইকেটে ২৩২ রানে। পঞ্জাব জিতল ১১ রানে।
সাদা বলের ক্রিকেটে মিডল অর্ডারের নিজের গুরুত্ব আরও এক বার বুঝিয়ে দিলেন শ্রেয়স। নতুন দল পঞ্জাব কিংসে যোগ দিয়েও ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন শ্রেয়স। তাঁর অপরাজিত ৯৭ রানের এবং ওপেনার প্রিয়াংশ আর্যের ৪৭ রানের ইনিংস সরিয়ে নিলে শুভমন গিলের গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে পঞ্জাবের মিডল অর্ডার ব্যাটারদের বেশ সাদামাঠা দেখাল।
গত বছর ট্রফি দেওয়া অধিনায়ককে এ বার ধরে রাখার চেষ্টা করেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স। পঞ্জাবের জার্সি পরে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই শ্রেয়স বুঝিয়ে দিলেন, কেকেআর কী হারিয়েছে। শ্রেয়স শুধু অধিনায়ক হিসাবেই দক্ষ নন। সাদা বলের ক্রিকেটে এই মুহূর্তে দেশের অন্যতম সেরা মিডল অর্ডার ব্যাটার। গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফর্ম আইপিএলেও ধরে রেখেছেন তিনি। অহমদাবাদের ২২ গজে তাঁর ৪২ বলে ৯৭ রানের ইনিংসই মূলত গুজরাতের বিরুদ্ধে পঞ্জাবকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দিল। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৫টি চার এবং ৯টি ছক্কা।

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন গুজরাত অধিনায়ক শুভমন। অহমদাবাদের ২২ গজে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েও সুবিধা করতে পারলেন না পঞ্জাবের ব্যাটারেরা। পিচের এক প্রান্ত আগলে রেখে অধিনায়ক শ্রেয়স একাই টানলেন। ওপেনার প্রিয়াংশ ২৩ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন ৭টি চার এবং ২টি ছয়ের সাহায্যে। অন্য ওপেনার প্রভশিমরন সিংহ (৫), আজমতুল্লা ওমরজ়াই (১৬), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (শূন্য), মার্কাস স্টোইনিস (২০) কেউই দলকে ভরসা দিতে পারলেন না। শ্রেয়স শেষ দিকে কিছুটা সাহায্য পেলেন শশাঙ্ক সিংহের থেকে। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী ব্যাট করলেন রশিদ খানদের বিরুদ্ধে। তাঁর জন্যই শতরান অধরা রইল শ্রেয়সের। শেষ ওভারে একটি বলও খেলার সুযোগ পেলেন না পঞ্জাব অধিনায়ক। মহম্মদ সিরাজের শেষ ওভারে তিনি তুললেন ২২ রান। শেষ পর্যন্ত ১৬ বলে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেন শশাঙ্ক। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৬টি চার এবং ২টি ছয়।
গুজরাতের বোলারদের মধ্যে সফলতম সাই কিশোর ৩০ রানে ৩ উইকেট পেলেন। ৪৮ রানে ১ উইকেট রশিদের। ৪১ রান খরচ করে ১ উইকেট কাগিসো রাবাডার। সিরাজ ৫৪ রান দিয়েও উইকেট পেলেন না। হতাশ করলেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, আর্শাদ খানও।
জয়ের জন্য ২৪৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে একটা সময় পর্যন্ত ভাল লড়াই করলেন শুভমনেরাও। গুজরাত অধিনায়ক ভাল শুরু করলেও বড় রান পেলেন না। ১৪ বলে ২টি চার এবং ৩টি ছয়ের সাহায্যে ৩৩ রান করেন। ওপেন করতে নেমে ভাল খেললেন সুদর্শনও। আরশদীপ সিংহের বলে আউট হওয়ার আগে তিনি করলেন ৪১ বলে ৭৪ রান। ৫টি চার এবং ৬টি ছক্কা মারলেন। তিন নম্বরে নেমে লড়াই করলেন জস বাটলার। লক্ষ্য বড় হলেও গুজরাতের ব্যাটারদের দেখে মনে হয়নি তাঁরা চাপে ছিলেন। প্রথম থেকেই রান তোলার গতি বজায় রেখেছিলেন ধারাবাহিক ভাবে। ১৪তম ওভার পর্যন্ত রান তোলার গতি বজায় রেখেছিলেন গুজরাতের ব্যাটারেরা। চার নম্বরে নেমে চালিয়ে খেললেন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার শার্ফেন রাদারফোর্ডও। কিন্তু তিনি আটকে গেলেন পঞ্জাবের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার বিজয়কুমার বৈশাখের বলে। ১৫তম ওভারে বল করতে এসে ম্যাচের গতি ঘুরিয়ে দিলেন বৈশাখ। শেষ দিকে ভাল বল করলেন মার্কো জানসেনও। বাটলার করলেন ৩৩ বলে ৫৪ রান। ৪টি টার এবং ২টি ছয় মারেন তিনি। বাটলার আউট হওয়ার পর গুজরাতের জয়ের আশা প্রায় শেষ হয়ে যায়। রান পেলেন না রাহুল তেওতিয়া। রাদারফোর্ড করলেন ২৮ বলে ৪৬ রান। মারলেন ৪টি চার এবং ৩টি ছক্কা। শেষে অপরাজিত থাকলেন শাহরুখ খান (৬) এবং আর্শাদ (১)।
পঞ্জাবের হয়ে ভাল বল করলেন আরশদীপ। ৩৬ রানে ২ উইকেট নিলেন তিনি। জানসেন ৪৪ রানে ১ উইকেট নিলেন। ২৬ রানে ১ উইকেট ম্যাক্সওয়েল। বৈশাখ ৩ ওভারে ২৮ রান দিলেন।
- চলতি বছর আইপিএলের ১৮তম বর্ষ। ২০০৮ সাল থেকে শুরু হয়েছিল এই প্রতিযোগিতা। এখন এই প্রতিযোগিতায় খেলে মোট ১০টি দল। তাদের মধ্যেই চলে ভারতসেরা হওয়ার লড়াই।
- গত বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তিন বার এই ট্রফি জিতেছে তারা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস পাঁচ বার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, দিল্লি ক্যাপিটালস, পঞ্জাব কিংস ও লখনউ সুপার জায়ান্টস এখনও পর্যন্ত এক বারও আইপিএল জিততে পারেনি।
-
১৮:৩৬
এক সপ্তাহ পরে ইডেনে কলকাতার ম্যাচ, রাহানের ‘দাবি’ মেনে পিচ বদলাচ্ছে? মুখ খুললেন পিচ প্রস্তুতকারক -
১৫:৩৩
ক্রাচ হাতেও কর্তব্যে অবিচল, কোচ দ্রাবিড়ের দায়বদ্ধতায় মুগ্ধ সমাজমাধ্যম -
১৫:৩০
পিচ-বিতর্ক! কেকেআরকে ইডেন ছেড়ে চলে যাওয়ার পরামর্শ -
১৩:৩১
‘রিজ়ওয়ান হয়ে কোনও লাভ নেই,’ আইপিএলের মাঝে হঠাৎ কেন পাক ক্রিকেটারকে নিশানা ঈশান কিশনের -
১২:৩২
ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগে জেনেছিলেন, খেলতে হবে, তার পর ২ উইকেট! রহস্য ফাঁস কেকেআরের মইনের