ইয়ারফোনেই লুকিয়ে বিপদ। ছবি: সংগৃহীত।
অফিসের অনলাইন মিটিং থেকে রাতের ঘুমপাড়ানি গান— সবেতেই ভরসা হেডফোন। রণে-বনে-জলে-জঙ্গলে, যেখানে ইচ্ছে কানে ইয়ারফোন গুঁজে কাটিয়ে দেওয়া যায় বেশ কয়েক ঘণ্টা। দীর্ঘ ক্ষণ কানে এই যন্ত্রটি গুঁজে রাখলে কর্ণকুহরে ময়লা জমতে পারে। তাই স্নান করার আগে কিংবা পরে নিয়মিত কান পরিষ্কার করেন। কিন্তু ইয়ারফোনে যে দু’টি প্লাগ রয়েছে, সেগুলি পরিষ্কার করার কথা কিছুতেই মনে থাকে না। চিকিৎসকেরা বলছেন, একটানা কানে হেডফোন গুঁজে কিংবা নির্দিষ্ট শব্দমাত্রার চেয়ে জোরে গান শুনলে যে শ্রবণযন্ত্রটি বিপন্ন হয়ে পড়তে পারে, সে সম্পর্কে অনেকেই জানেন। কিন্তু ইয়ারফোনে জমা নোংরা থেকেও যে একই রকম ভাবে বিপদ হতে পারে, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। তাই কানের সঙ্গে সঙ্গে ইয়ারফোন নিয়মিত পরিষ্কার করাও জরুরি।
নিয়মিত ইয়ারফোন পরিষ্কার না করলে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে?
কানের মধ্যে জমা নোংরা ইয়ারফোন বা প্লাগের খাঁজে জমতে থাকে। সেখানেই বাসা বাঁধে ব্যাক্টেরিয়া। সেই যন্ত্র আবার কানে গুঁজলে সেখান থেকে কানে সংক্রমণ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। আবার, একটি ইয়ারফোন অনেকে ব্যবহার করলেও সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়। দীর্ঘ দিন ধরে এই ধরনের ইয়ারফোন ব্যবহার করলে কর্ণকুহরে অতি সূক্ষ্ম জীবাণুরা বাসা বাঁধে। কানের মধ্যে তরল জমতে শুরু করে। ব্যথা, যন্ত্রণা তো বটেই পরবর্তী কালে তা পাকাপাকি ভাবে শ্রবণশক্তি নষ্ট করে দিতে পারে।
ইয়ারফোন থেকে সংক্রমণ শুধু কান নয়, ত্বক পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে। নাক, কান এবং গলার চিকিৎসকেরা বলছেন, অপরিষ্কার ইয়ারফোন থেকে এমন অবস্থা হয় যে, শরীরের নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। তাই প্রতি বার এই যন্ত্রটি ব্যবহার করার আগে এবং পরে শুকনো সুতির কাপড় দিয়ে তা ভাল করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। নোংরা জমা ইয়ারফোন যাতে কোনও ভাবেই কানের গভীরে প্রবেশ না করে, সে দিকেও লক্ষ রাখতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy