সোহিনী সরকার। নিজস্ব চিত্র।
নববর্ষ হল বাংলা ও বাঙালির এক পরম বাঙালিয়ানার দিন। বাঙালি ঘরানার পোশাক পরা থেকে বাঙালি খাবারের ভূরিভোজ, ইলিশ আর চিংড়ির লড়াই থেকে আম, লিচুর গন্ধে গোটা বাড়ি ম ম করা— পয়লা বৈশাখ এর চেয়ে আন্তরিক উদ্যাপন আর কী বা হতে পারে।
নববর্ষ উন্মাদনা টলিপাড়ার আনাচ-কানাচেও ছড়িয়ে পড়েছে। টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোহিনী সরকার। পয়লা বৈশাখে এ বছর কোনও ব্যস্ততা নেই তাঁর। সারা দিনে কী পরিকল্পনা তাঁর? সোহিনীর কথায়, ‘‘আমার পয়লা বৈশাখ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম ভাবে কাটে। এক বার নববর্ষে শুটিং ছিল। তবে শুটিং না থাকলেই ভাল লাগে আর কী। কারণ, এই বিশেষ দিনগুলিতেই তো বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে খেতে যাওয়া কিংবা বাড়িতে বসে আড্ডা দেওয়া, হই হুল্লোড়ের একটা সুযোগ পাওয়া যায়। এ ভাবেই সময় কাটাতে ভাল লাগে। এ বছরও তেমন পরিকল্পনাই আছে। মা আছে বাড়িতে। মায়ের সঙ্গে সারা দিনটি কাটাব। সন্ধ্যাবেলায় একটি প্রযোজনা সংস্থা নববর্ষের বিশেষ অনুষ্ঠান করে। করোনার পরে বোধ হয় এ বছর প্রথম হচ্ছে। তো সেই অনুষ্ঠানেও এক বার যেতে হবে।’’
এ তো গেল পয়লা বৈশাখে সোহিনীর সারা দিনের জমজমাট পরিকল্পনা। কিন্তু বাঙালির উৎসব তো ভূরিভোজ ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না। নববর্ষে কি ডায়েট ভুলে বাঙালি খানার স্বাদ নেবেন অভিনেত্রী? সোহিনী বলেন, ‘‘না, আমার তো সব দিনই ডায়েট বন্ধ। (হাসি) এ সব দিনগুলিতে তো আরও বন্ধ। অজুহাত পাওয়া যায় একটা।’’
তা হলে কি বাড়িতেই জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না কি বাইরে কোথাও যাওয়া হবে? সোহিনী বলেন, ‘‘বাইরে আর কোথায় যাব। আসলে এই উৎসবের দিনে বড় বড় রেস্তরাঁগুলিরও খাবারের মান পড়ে যায়। তা ছাড়া এত দেরি হয় যে, খিদে আটকে রাখা যায় না। তার উপর বাইরে এত গরম, রোদ, সব মিলিয়ে আপাতত বাইরে খেতে যাওয়ার ইচ্ছে নেই। বাড়িতে থাকব।’’
তা হলে বাড়িতেই কি ভূরিভোজের একটা পর্ব থাকছে? অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘পয়লা বৈশাখ বলে পাঁচ পদে রান্না হচ্ছে, এমন নয়। গরম যা পড়েছে, তাতে ডাল, ভাত আর লেবু সবচেয়ে সেরা। সঙ্গে একটু ভাজা। আর আমি এমনিতেও ভাজাভুজি খেতে ভালবাসি। আর আমি একটু নিরামিষও পছন্দ করি। এ বার দেখা যাক কী হয়।’’
পাঁঠার, চিংড়ি না ইলিশ— সোহিনী়র পাতে কোনটা থাকছে? তাঁর কথায়, ‘‘এই প্রবল গরমে তিনটের কোনওটাই থাকছে না। ডাল আর সঙ্গে কিছু ভাজা, এটাই থাকছে। আর শেষপাতে মিষ্টি। ওটা ছাড়া তো চলবেই না।’’
বিজয়া দশমী হোক কিংবা ছবির প্রিমিয়ার, শাড়িতেই দেখা যায় সোহিনীকে। নববর্ষেও পরনে শাড়িই থাকছে অভিনেত্রীর? সোহিনীর উত্তর, ‘‘একদম। পয়লা বৈশাখের জন্য আলাদা করে কেনাকাটা তো করা হয় না। কিন্তু আলমারিতে প্রচুর নতুন শাড়ি এমনিই রয়ে যায়। উপহার পেয়েছি। নিজেরও কেনা ছিল। তবে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে নতুন ব্লাউজ বানাতে দিয়েছি। সেটা একটা নতুন। এ দিন যা-ই করি, যেখানেই যাই, শাড়িই পরব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy