হেডফোন বা ইয়ারফোন লাগিয়ে ঘুমনোর অভ্যাস থাকে অনেকেরই। কিন্তু এই অভ্যাস কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? অনেকেই বলছেন, এর ভাল এবং মন্দ— দুটো দিকই আছে।
হেডফোন বা ইয়ারফোন লাগিয়ে ঘুমের সুবিধা:
- টানা ৭ ঘণ্টা ঘুমতে না পারলে অনেকেরই নানা সমস্যা হয়। উদ্বেগ, অবসাদের মতো সমস্যা তো আছেই। পাশাপাশি হৃদরোগের আশঙ্কাও বাড়ে। কানে গান বাজলে ঘুম ঘন হলে এই সমস্যা কমে।
- ঘুমের মধ্যে কানে গান বাজা মনকে বেশি পরিমাণে শান্ত রাখে। ঘুম ভাল হয়।
- বাইরের আওয়াজ আসতে পারে না বলে ঘুমতে সুবিধা হয়।
- অনেকের মতে, ঘুমতে যাওয়ার আগে কানে গান বাজতে থাকলে শরীরে ডোমামিন নামক হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। এটি মন ভাল রাখতে সাহায্য করে। ফলে ঘুম ভাল হয়। ঘুম থেকে ওঠার পরেও মন ফুরফুরে থাকে।
তবে শুধুই যে সুবিধা, তা নয়। হেডফোন বা ইয়ারফোন কানে লাগিয়ে ঘুমনোর কতগুলো সমস্যাও আছে। সেগুলো কী কী দেখে নেওয়া যাক:
- হেডফোন বা ইয়ারফোন দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবহার করলে কানের স্নায়ুর ক্ষতি হতে পারে।
- দীর্ঘ ক্ষণ কানের ছিদ্র বন্ধ থাকে বলে ঘাম জমে কানে এক ধরনের সংক্রমণ হতে পারে। একে বলে ওটাইটিস এক্সটার্না।
- এই ধরনের গান শোনার যন্ত্র যদি ‘কর্ডলেস’ না হয়, অর্থাৎ তাতে তার থাকে, তা হলে ঘুমের মধ্যে সেই তার গলায় বা অন্যত্র জড়িয়ে রক্তচলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
- কানের ফুটো বন্ধ থাকায়, ময়লা জমার পরিমাণ বাড়ে। এবং সেগুলো খুব শক্ত হয়ে কানে জমে যেতে পারে। তাতে শোনার ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
- কানে হেডফোন বা ইয়ারফোন বাইরের শব্দ আসার পথ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়। ফলে আগুনের অ্যালার্ম বা শিশুর কান্না শোনা যায় না। এটা অনেক সময়েই বিপদ ডেকে আনতে পারে।
তবে ঘুমের মধ্যে যে শুধু হেডফোন বা ইয়ারফোনেই গান শোনা যায়, এমনটা নয়। এর বিকল্প হিসেবে ঘরের ছোট মিউজিক সিস্টেমে গান শোনা যেতে পারে। ফোনের স্পিকারেও গান চালিয়ে মাথার কাছে রেখে দেওয়া যায়।